নিজ ঘরে নববধূর ঝুলন্ত লাশ

121

অনলাইন ডেস্ক

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে ইতালি প্রবাসী নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নববধূর নাম মীম আক্তার।

শনিবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে উপজেলা চত্বরসংলগ্ন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মীম আক্তার (২০) একই এলাকার হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইতালি প্রবাসী জুবায়ের হোসেনের স্ত্রী ও উপজেলার খানকান্দি (নলগোড়া) গ্রামের মিজানুর রহমান খানের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে মীমের সঙ্গে ইতালি প্রবাসী জুবায়ের হোসেনের প্রেমের সূত্র ধরে বিবাহ হয়। গত ১৫ দিন আগে জুবায়ের ইতালি থেকে দেশে ফেরেন।

শনিবার বিকালে মীমকে রেখেই ঘুরতে যান স্বামী জুবায়ের। সন্ধ্যায় জুবায়ের মা মীমকে নামাজ পড়তে ঢাকাঢাকি করতে ঘরের দরজা ধাক্কা দেন। এ সময় ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মা জুবায়েরকে ফোনে বিষয়টি জানান।

এর পর জুবায়ের এসে পরিবারের লোকজনসহ দরজা ভেঙে মীমকে ঘরের সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

এ সময় তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে জুবায়ের ও তার শাশুড়ি (মীমের মা) নিজ দায়িত্বে মীমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে যান। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে খবর পেয়ে শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তবে তারা আসার আগেই মীমকে নিয়ে তার পরিবারের লোকজন ফরিদপুরের উদ্দেশ্য রওনা দেন।

মীমের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, আমার জামাতার সঙ্গে মীমের আগে পরে কোনো ঝামেলা ছিল না। সন্ধ্যার দিকে জুবায়ের আমাকে ফোন দিয়ে মিতু ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছে বলে জানান। পরে আমি তাদের দরজা ভেঙে ফেলতে বলি এবং আমি সেখানে যাই।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মীমের নিথর দেহ নামানো হচ্ছে। এখন কেমনে মরছে নাকি ওকে মেরে ঝুলিয়ে রাখছে সেটি আমি জানি না।

এ বিষয়ে শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর জেলা পুলিশ গ্রহণ করেছে। তবে শিবচর থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।