শাজাহানপুরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে আশংকাজনক সন্ত্রাসী ফোরকান

304

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফোরকান(৩৫)’কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষ। গতকাল সোমবার উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ ফুলতলা বাজার এলাকায় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের ছেলে। নিহতের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা বিচারাধিন রয়েছে। ফোরকান ওই এলাকার আরেক নিহত সন্ত্রাসী শাহীন বাহিনীর অন্যতম সদস্য। প্রতিপক্ষ নিহত মজনু পরিবারের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ফোরকানের মা দাবী করেছেন। পাল্টা হামলার আশংকায় বর্তমানে ওই এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। কথা বলতে রাজি হননি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নিহতের মা শাহানা বেওয়া জানান, তার ছেলে ভালো হয়ে গিয়েছিলো। দুপুড়ে ডাউল দিয়ে ভাত খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর প্রতিপক্ষের লোকজন রাস্তা থেকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানাযায়, ফুলতলা এলাকায় শাহীন এবং মজনু প্রামানিক দুই বন্ধু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। অভ্যন্তরীন কোন্দলে শাহীনের হাতে মজনুর পিতা শুকুর আলী প্রামানিক নিহত হন। এরপর মজনু গ্রুপের হাতে উপজেলার ফুলদীঘি এলাকায় সরকারী আমবাগানে খুন হন শাহীন।
পরবর্তীতে শাহীন বাহিনীর সদস্যদের হাতে প্রথমে খুন হন মজনুর ভাতিজা শামীম আহম্মেদ বুশ। একই বাহিনীর হাতে একই এলাকায় একটি বাড়ির ভেতরে খুন হন মজনু প্রামানিক ও তার ভাতিজা নাহিদ প্রামানিক। রেশ কাটতে না কাটতেই বাড়ির অদূরে খুন হন মজনুর ভাই রঞ্জু প্রামানিক। এই হত্যাকান্ডে দায়ের হওয়া মামলা গুলোর আসামী ছিলেন ফোরকান।
এলাকায় আধিপত্ব্য নিয়ন্ত্রনে নিতে নিহত শাহীন বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় প্রবেশ করতে তৎপরতা শুরু করেন। গোপন সংবাদের ভিত্বিতে শাজাহানপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সে সময় বিপুল পরিমান দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন। পরে র‌্যাবের অভিযানে মজনুর ছোট ভাই নান্টুকে বিদেশী অস্ত্র গুলি সহ গ্রেফতার করেন র‌্যাব বগুড়া। পরবর্তিতে নিহত মজনু পরিবারের হাতে খুন হন শাহীন গ্রুপের অন্যতম সদস্য আকুল। এরপর থেকে শাহীন বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় প্রকাশ্যে অবস্থান করছিলেন না। একই শত্রুতার জের ধরে মজনু পরিবারের হাতে গতকাল সোমবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতের শিকার হন ফোরকান। নিহতরা সবাই সরকারী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আসন্ন বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন নিহত মজনুর ভাতিজা নাদিম প্রামানিক। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিপক্ষের হামলার আশংকা করছিলেন নাদিম। বিভিন্ন সময় তিনি প্রশাসনের দৃস্টি আকর্ষনের চেস্টা করেছিলেন।
ওই এলাকার গুলফি বেগম এবং জরিনা বেওয়া জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সুমন এবং মানিকের সাথে ফোরকানের বাক বিতন্ডা হয়। ফোরকানরা মানিককে মেরে আহত করে। তারপরে কি হয়েছে তা তাদের জানানেই।
শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক(সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ফোরকানের অবস্থা আশংকাজনক। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।