উন্নয়নশীল দেশের পথে যাত্রা বাংলাদেশের

214

অনলাইন ডেস্ক

তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশের যাত্রা প্রায় শেষ হতে চললো। জাতিসংঘের কাছ থেকে আরেকবার সুখবরের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। বিশ্বসংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপম্যান্ট পলিসির (সিডিপি) পর্যালোচনা সভায়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ঘোষণা মিলতে পারে শুক্রবার রাতেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্নয়নশীল দেশের যাত্রা পথে বাংলাদেশকে পেরুতে হবে বহু বাধা, হারাতে হতে পারে কিছু সুবিধা। তবে মর্যাদার কথা বিবেচনায় নিলে সেসব অতি সামান্য বলে মনে করছেন তারা।

স্বাধীনতার পরপর উন্নত দেশের কাছ থেকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ছিল বাংলাদেশের নিত্য সঙ্গী। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি আদতে টিকবে কি না- এমন সন্দেহ ছিল খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদদের।

সন্দেহবাদীদের মুখে ছাই দিয়ে সেই ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটি এখন বিশ্বের বিস্ময়, বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের ওপর ভর করে এদেশ শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে ৭ শতাংশের ওপরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে।

বাংলাদেশ যে আর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকছে না তা, ২০১৮ সালে ঘটা করে জানান দিয়েছিল জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বিবেচ্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকেই অনন্য অর্জন আছে বাংলাদেশের। যদিও শর্ত ছিল এই তিন সূচকের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে অন্তত ৬ বছর। যা পর্যালোচনা হবে ৩ বছর পর পর।

৩ বছর পর সিডিপির সেই ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভা শেষ হচ্ছে শুক্রবার রাতে। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ এখন যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, ওষুধ খাতে সুবিধা ও মেধাস্বত্ব সুবিধা পাচ্ছিল সেগুলো বাতিল হতে পারে। আর বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বহুজাতিক সংস্থা এবং দেশ থেকে যে ঋণ পায় তার সুদ একটু চড়া হতে পারে।