জামিন জালিয়াতি: বগুড়ার কাউন্সিলর আমিনুলসহ ১৬ আসামী কারাগারে

244

স্টাফ রিপোর্টার

ভুয়া জামিননামা তৈরির ঘটনায় উচ্চ আদালতের (হাইকোর্ট) গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়ার ৯দিন পর বগুড়ার যুবলীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামসহ ১৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করেন তারা।

বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আসমা মাহমুদ এই আদেশ দেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ নিশ্চিত করেছেন।

এ আগে গতকাল বুধবার বিকেলে একই আদালতে উপস্থিত হয়ে ওই মামলার ১৪ আসামি আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে তাদেরও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন বগুড়া পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, আবদুল আলিম, আনোয়ার মণ্ডল, মোহাম্মদ বাদল, সেলিম, কিবরিয়া, রাশেদুল, সাদ্দাম, মাহমুদ, রতন, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন, জাহিদুর রহমান, নুর আলম মন্ডল, বিপুল ও সুমন প্রামানিক।

এ ছাড়া গতকাল বুধবার কারাগারে পাঠানো ১৪ আসামি হলেন বগুড়া সদরের গোদারপাড়া এলাকার লিটন প্রামানিক, মোহাম্মদ মানিক, মোহাম্মদ জাকির, মোহাম্মদ তানভির, মোহাম্মদ আবদুল গনি, রাসেল মন্ডল, আসাদুজ্জামান মনা, খোকন, শিপন, আল আমিন, দীপ্ত, মিরাজ, হেলাল ও রাব্বী।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ জানান, ওই মামলায় গতকাল আদালতে ১৬ আসামি ও আজ বৃহস্পতিবার ১৪ জন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি পৌর কাউন্সিলর আমিনুর ইসলামসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

ওই মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩০ জনের জামিননামার ভুয়া নথি তৈরি করা হয়। ভুয়া জামিননামার বিষয়টি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ার পরপরই বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। সাত দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করতে বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমকেও নির্দেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চের উল্লেখ করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পাওয়ার দাবি করেন বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুর ইসলামসহ ৩০ আসামি। তবে ওই দিন এই আদালত থেকে এমন কোনো আদেশ হয়নি। এমনকি সেখানে যেসব আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাও ভিত্তিহীন।