১২৯ বছরে যে লজ্জা প্রথমবার পেল লিভারপুল

113

অনলাইন ডেস্ক
ইয়ুর্গেন ক্লপের হাত ধরে বদলে গিয়েছিলো লিভারপুল। অ্যানফিল্ড ফিরে গিয়েছিলো তার পুরনো রূপে। যে মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরা যে কোনো ক্লাবের জন্যই ছিলো এক দুঃসাধ্য অভিযান। এই ক্লপের অধীনেই অ্যানফিল্ডে টানা ৬৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও গড়েছিল অলরেডরা। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখা হয়ে গেলো জার্মান মাস্টার মাইন্ডের।

অবশ্য এখন ক্লপকে মাস্টার মাইন্ড আদৌ কেউ বলবে কি না, এ নিয়ে তর্ক হতেই পারে। ৩০ বছর পর ইংলিশ লিগের শিরোপা অ্যানফিল্ডে ফিরিয়ে সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলো ফিরমিনো-সালাহরা। তারাই এবার হয়তো দুয়ো দিবে ক্লপ ও তাঁর ফুটবলারদের। কারণ এমন এক লজ্জার সাক্ষী হয়েছে তারা, যা ক্লাবের ১২৯ বছরের ইতিহাসে প্রথম। চেলসির কাছে ১-০ গোলের এই হার দীর্ঘদিন ক্ষত হয়ে থাকবে কোটি লিভারপুল সমর্থকের মনে। এ নিয়ে অ্যানফিল্ডে টানা ৫ ম্যাচ হারলো ইপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ১৮৯২ সালে ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হবার পর এই প্রথম অ্যানফিল্ডে টানা পাঁচ ম্যাচ হারলো লিভারপুল।

গেলো ক’মাস ধরেই ইনজুরি বেশ ভোগাচ্ছিলো লিভারপুলকে। যার প্রভাব ছিলো ম্যাচের ফলে। টানা হারতে হয়েছে বেশ কিছু ম্যাচে। ইপিএলের শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন অনেক আগেই শেষ অলরেডদের। তাদের চাওয়া হয়তো এটুকুই ছিলো অন্তত সেরা চারে থেকে মৌসুম শেষ করা। কিন্তু সেটাও এখন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।

সালাহ-ফিরমিনো-মানে, আক্রমণভাগে পছন্দের তিন খেলোয়াড় নিয়েই চেলসির বিপক্ষে একাদশ সাজান ক্লপ। লিভারপুলে যখন দুর্দশা, চেলসি তখন মাঠে নামে টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার আত্মবিশ্বাস নিয়ে।

যার স্পষ্ট ছাপ ছিলো ব্লু’দের খেলাতেও। ভার্নার-জিয়েখরা শুরুতেই নিয়ে নেয় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। একবার তো গোল করে চেলসিকে এগিয়েও দেন টিমো ভার্নার। যদিও ভিএআরে সেটা বাতিল করে দেন রেফারি।

তার ৪ মিনিট বাদেই লিড নিতে পারতো স্বাগতিকরা। কিন্তু এ যাত্রায় বলের সঙ্গে সাদিও মানের সংযোগ না হওয়ায় গোল বঞ্চিত হয় ক্লপের দল।

চেলসি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার ফল পায় প্রথমার্ধ্বের শেষদিকে। ৪২ মিনিটে মেসন মাউন্টের গোলে লিড পায় থমাস টুখেলের দল।

দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরু থেকেই চলতে থাকে চেলসির ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা। ক্লাবের নতুন সাইনিং হাকিম জিয়েখ ব্যবধান দ্বিগুণ প্রায় করেই ফেলেছিলেন। তবে রবার্টসন সে যাত্রায় ত্রাতা হয়ে রক্ষা করেন লিভারপুলকে।

গোলের জন্য মরিয়া লিভারপুল বস ৬২ মিনিটে পরিবর্তন আনেন দুটি। মাঠে নামান দিয়েগো জটা আর চেম্বারলাইনকে। যদিও তাতেও লাভ হয়নি খুব একটা। অলরেডদের হয়ে গোল করতে পারেনি কেউই। চেলসির ১-০ গোলের জয়ে নিশ্চিত হয় সেরা চারে যাওয়া আর হারের সঙ্গে লজ্জার ইতিহাস নিয়ে নত মাথায় মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।