সোনাতলায় পুর্ব শত্রুতার জেরে বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা

185

নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় জমিজমা সংক্রান্ত পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এক মুক্তিযোদ্ধার উপর অতর্কিত হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ১৪’ই মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার দিগদাড় ইউনিয়নে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফুল মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী মোছাঃ সাহেরা বেগম (৬৫) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎস্যাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার দিগদাড় ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত তশিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফুল মিয়ার সাথে পাশ্ববর্তি বুড়ারদহ গ্রামের মোঃ নজমল হোসেনের দির্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরধরে শনিবার সকালে প্রতিপক্ষ নজমল হোসেনের ছেলে মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন, মামুনের মা বুলবুলি বেগম ও মামুনের স্ত্রী সহ তাদের ভারাকরা লোকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফুল মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেদম মারধর করে।
এসময় তার স্ত্রী তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতেকরে ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে সোনাতলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা চিকিৎস্যাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফুল মিয়া জানায়, দির্ঘদিন যাবত উভয়ের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ইতিপুর্বে এনিয়ে সোনাতলা থানায় কয়েকটি অভিযোগও করেন তিনি। সেই অভিযোগমুলে থানা পুলিশ এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে উক্ত জায়গাটি আমিন দ্বারা মাফযোগ করে তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর তিনি উক্ত জাযগার উপর দুইটি ঘর নির্মান করেন এবং তখন থেকেই জায়গাটি তার দখলে রয়েছে। এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন ইতিপুর্বের মিমাংশিত বিষয়টি অমান্য করে বর্তমানে তার নির্মানাধীন ঘর ১৩’ই মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতের অন্ধকারে পরিকল্পিতভাবে ভেঙ্গে দিয়ে সকল সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলে।
এসংবাদে পরেরদিন শনিবার সকালে তিনি ( ফুলমিয়া ) উক্ত স্থানে গিয়ে নজমল হোসেনকে বাধা নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয় এবং ফুলমিয়ার সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এসময় নজমলের স্ত্রী বুলবুলি ও ছেলে মামুন বহিরাগত লোকজন নিয়ে হাতে লাঠিশোটা নিয়ে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফুলমিয়া ও তার স্ত্রীকে বেদম মারধর করে। এতেকরে তারা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎস্যাধীন রয়েছেন। তিনি আরো জানান, বিষয়টি মৌখিক ভাবে থানায় অবগত করলে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেন।
এদিকে স্বরজমিনে এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বললে অনেকেই জানান, দির্ঘদিন থেকে মুক্তিযোদ্ধা ফুলমিয়া তার জায়গায় ঘর নির্মান করে তা ব্যাবহার করে আসছে। কিন্তু মামুন ও তার পরিবারের লোকজন শত্রুতামুলকভাবে ঘরটি রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে সরিয়ে ফেলে।
এতে ফুলমিয়া প্রতিবাদ করায় তাকে ও তার স্ত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর করে মামুন ও তার সহযোগিরা। সেইসাথে সত্য কথা বললে পরবর্তিতে মামুন তাদেরকে হুমকী দেয় বলেও জানান তারা।
এসময় মামুন ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা স্কিকার করে এবং এঘটনায় তাদেরও একজন আহত হয়েছে বলেও জানায় তারা।
এদিকে এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা স্বিকার করেন।