জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে-অধ্যক্ষ ঝুনু

131

আবু সাঈদ হেলাল স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু বলেছেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বাঙালির জন্য আশীর্বাদের একটি দিন। এদিন হাজার বছরের শৃঙ্খলিত বাঙালির মুক্তির দিশা নিয়ে জন্ম হয় মুজিব নামের এক দেদীপ্যমান আলোক শিখার। এ আলোক শিখা ক্রমে ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র, নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে পরাধীনতার আগল থেকে মুক্ত করতে পথ দেখাতে থাকে পরাধীন জাতিকে। অবশেষে বাংলার পুব আকাশে পরিপূর্ণ এক সূর্য হিসেবে আবির্ভূত হয়, বাঙালি অর্জন করে মুক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু আজ নেই, কিন্তু সে সূর্যের প্রখরতা আগের চেয়েও বেড়েছে অনেকগুণ। তাঁর অবস্থান এখন মধ্যগগনে। সেই সূর্যের প্রখরতা নিয়েই বাঙালি জাতি আজ এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। তিনি বলেন, আজকের তরুন প্রজন্ম ও শিশু কিশোরদের মাঝে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে। জাতির পিতা শিশুকাল থেকেই যেমন নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন দেশ ও জনগণের কল্যাণে, ঠিক সেভাবেই শিশুকিশোরদেরকে গড়ে তুলতে হবে’। ‘জাতির পিতার সেই জীবনী অনুসরণ করে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসা, দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ থাকা, কি পেলাম, কি পেলাম না, সেই চিন্তা না করা। কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম সেই চিন্তাটা সবার মাঝে থাকতে হবে।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু গ্রামবাংলার মানুষকে চিনতেন, জানতেন, অনেক কাছে থেকে দেখেছেন তাদের সমস্যা। বঙ্গবন্ধু সবসময় নিজেকে একটি আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন। আদর্শটা হচ্ছে জনগণের সেবা ও জনকল্যাণে কাজ করা। তাই ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে তরুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে বগুড়ায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শনিবার সন্ধা ৭ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি কথাগুলো বলেন। বগুড়া শহীদ খোকন পার্ক চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জোটের সহ-সভাপতি আসাদ হোসেন। জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ আলোচক ছিলেন দৈনিক উত্তরের দর্পণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাবু। আলোচনা শেষে রবীন্দ্র সঙ্গীত ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, সংস্কৃতজন এবিএম জিয়াউল হক বাবলা, খলিলুর রহমান চৌধুরী, মতিউর রহমান, সাদেকুর রহমান সুজন, লুবনা জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শহীদ খোকন পার্ক এলাকায় ১০ দিনব্যাপী বইমেলা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গন সরব থাকছে।