বগুড়ার শেরপুরে প্রতারকের থেকে টাকা আদায় করতে গিয়ে উল্টো মামলার জালে

162

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ গ্রাম থেকে ধুনট উপজেলার নাটাবাড়ি গ্রামের এক প্রতারক সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।

প্রতারক শামীমের মা চায়না খাতুনের দায়ের করা শেরপুর থানার মামলা নং ৩০ সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার পার নাটাবাড়ি গ্রামের শামীম ও তার ভাই লিমন ১৯ মার্চ রাতে ১১.৪৫ মি: বিদ্যুৎ নামে এক ব্যক্তির কাছে টাকা নিতে গাড়িদহ বাসস্ট্যান্ডে আসে। সেখান থেকে মহিপুর কলোনি নিবাসী বরখাস্তকৃত সাবেক পুলিশ সদস্য শিলু মিয়া(৩০), গাড়িদহ মধ্যপাড়া নিবাসী মোশারফ হোসেন (৪১) এবং মামুনুর রশিদ (২৬) তাদেরকে আটক করে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং আটকে রেখে ৫০০০০ টাকা দাবি করে। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের ২১মার্চ আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং আদালতে প্রেরণ করে।

অপরদিকে প্রতারণার সরঞ্জামাদি ২২ ক্যারেটের একটি নকল স্বর্ণের বার, ১টি মোবাইল ফোন, একটি ব্লেড এবং মোবাইলের নয়টি সিম সহ প্রতারক শামীমকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৮ মার্চ দিবাগত রাতে বারোটার দিকে চাকরীচ্যুত সাবেক পুলিশ কনস্টেবল শিলু, ধুনট উপজেলার নাটাবাড়ি গ্রামের শামীম এবং তার ভাই লিমন নামের দুইজনকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে কোয়ালিটি ফিড এর রাস্তা হতে ধরে গাড়িদহ বাবলু ফিলিং স্টেশনে নিয়ে আসে। সেখানে মোশারফ ও মামুনসহ আরও ২/৩ জন প্রতারকদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছে ১ টি নকল স্বর্ণের বার, মোবাইলের ৯ টি সিম, ব্লেড এবং বেশকিছু মোবাইল নাম্বার ও নামসহ একটি কাগজ দেখতে পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় শিলু,মোশাররফ এবং মামুন তাদেরকে মোশাররফের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ২০মার্চ বিকেলবেলা মোশাররফ, মামুনুর রশিদ এবং শামীমকে নদীর ঘাট থেকে এবং শিলুকে বনমরিচা বটতলা থেকে শেরপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান শামীমের মা চায়না খাতুনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং শামীম এর কাছে নকল স্বর্ণেরবার, ব্লেড, সীম থাকায় সে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারায় তার বিরুদ্ধে কার্যবিধি ৫৪ ধারায় মামলা রুজু করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।