ধর্ষণের শিকার তরুণীকে এভাবেই মারধর করে ফেলা রাখা হয়!

121

অনলাইন ডেস্ক

নেত্রকোনার মদনে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ায় জন্য প্রতিবন্ধী এক কলেজশিক্ষার্থীকে (১৮) মরধর করে সড়কের ব্রিজের নিচে ফেলে রেখেছেন অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন। বৃহস্পাতিবার সকালে তিয়শ্রী-সিংহের বাজার সড়কের মাখনা গ্রামের সামনে ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় এলকাবাসী ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে ভর্তি করছেন। বুধবার রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের।

আহত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০২০ সালের ১৬ আগস্ট মাঘনা গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে অপু আমাকে প্রেমের প্রলোভন দিয়ে জোড়পূবক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। তখন থেকেই ধর্ষণ মামলাটি তোলে নেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময় চাপ সৃষ্টি করে। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল জামিন পেয়ে অপু বাড়িতে আসে। এরপর থেকে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায়। গতকাল বুধবার বিয়ের কথা বলে আমোকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে অপু ও তার বাবা আব্দুল করিম, আরো কয়েকজন মামলাটি তোলে নেওয়ার জন্য আমাকে মারধর করে। আমি অচেতন হয়ে পড়লে তাদের বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচে ফেলে যায়। আমার একটি চোখ নষ্ট, আরো একটি চোখ তারা নষ্ট করে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে অপু বলেন, ‘গতকাল রাতে একটি সিএনজি নিয়ে গভীর রাতে ওই মেয়েটি আমার বাড়িতে এসেছিল। পরে আমার বাবা চোর মনে করে কয়েকটি থাপ্পর দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে।’

নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে মদন হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।

মদন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার কাজী বুশরা আমীনা জানান, মেয়েটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, প্রতিবন্ধী কলেজ শিক্ষার্থী অপুর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ১৯ আগস্ট মদন থানায় যে মামলাটি করেছিল সেই মামলাটি বিচারাধীন। মারপিটের বিয়ষটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।