বগুড়ার শেরপুরে যৌতুক দিতে না পারায় স্বামীর নির্যাতনে ঘরছাড়া গৃহবধূ

165

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়ার শেরপুরে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শিলা আক্তার নামের এক গৃহবধূ।

তিনি উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের সোহেল রানা ওরফে বাবুর স্ত্রী। স্বামী ও তার পরিবারের অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় সোমবার (১০ মে) শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চকপোতা গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে শিলা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার পারভবানীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে সোহেল রানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে বিগত ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।

এরপর বেশকিছু দিন ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এক পর্যায়ে স্থানীয় ‘খারাপ প্রকৃতির’ লোকজনের সঙ্গে মিশে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সোহেল রানা। এছাড়া গাড়ীদহ বাজারের বাড়ির এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। জানতে পেরে শিলা আক্তার নানাভাবে এসব কর্মকাণ্ডে বাঁধা দিতে থাকেন। সেই সঙ্গে স্বামীকে ভালো পথে নিয়ে আসার সব রকম চেষ্টা করেন। কিন্তু তার এসব কাজে সোহেল রানা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালানো শুরু করেন। পাশাপাশি ব্যবসার জন্য যৌতুক হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করে বসেন সোহলে।

এর মধ্যে এক লাখ টাকা পরিশোধও করে শিলার পরিবারা। এরপরও সোহেলেও মন গলেনি। বরং যৌতুকের টাকার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিলার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন সোহেল। একপর্যায়ে সোহলে ও তার পরিবারের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হন শিলা। বেশ কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও তাকে ভরণ-পোষণ ও খোঁজ-খবর না নেয়ায় শিলা আক্তার মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সোহেল রানা বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে শিলা আক্তার বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি কোনো পরকীয়া বা মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত নন। এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে ফাঁসানো ও অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়ার জন্যই থানা পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।