মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম কে সচিবালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হেনস্থা, নির্যাতন, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় জড়ানোর এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা।
বুধবার বিকেল চারটায় শেরপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে অনলাইন মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়া এবং টিভি চ্যানেলের গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দিপক কুমার সরকার। রোজিনা ইসলামের প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদের অনৈতিক আচরণের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম শাওন, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বাবলু, রঞ্জন কুমার দে, সাংবাদিক এ জেড হীরা, সাংবাদিক জিয়াউদ্দিন লিটন, সাংবাদিক সবুজ চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন খান জুম্মা, সাংবাদিক সুজিত কুমার বসাক, পৌর মেয়র জননেতা আলহাজ্ব জানে আলম খোকা, শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দিপক কুমার সরকার , বক্তারা বলেন, ‘রোজিনা ইসলাম আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। এটা পরিস্কার, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নানাবিধ দূর্ণীতি ও অনিয়ম নিয়ে তিনি একের পর প্রতিবেদন করায় দ্র্ণূীতিবাজ আমলাদের রোষাণলে পড়েছেন।
দায়িত্ব পালনের জন্য রোজিনা ইসলাম সচিবালয়ে গেলে তাঁর সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা যে ব্যবহার করেছেন, তা দেখে আমরা হতবাক ও বিস্মিত। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।’
‘রোজিনা ইসলাম একদিনে তৈরি হয়নি। তাঁর এ পর্যন্ত আসতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তিনি এ দেশের মেধাবী সাংবাদিক।
তিনি সৃজনশীল ও তথ্যবহুল লেখনী দিয়ে এ দেশের প্রতি অবদান রেখে যাচ্ছেন। অথচ তাঁর মতো একজন গুণী সাংবাদিকের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করেছেন। নারী হিসেবে একটুও সম্মান জানানো হয়নি। স্বাধীন দেশে এটা মোটেই কাম্য নয়।
দূর্ণীতিবাজ আমলারা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে রোজিনা ইসলামের ওপর দায় চাপাতে চাচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দূর্ণীতিবাজ আমলাদের বিচার চাই।
আজকে রোজিনা ইসলামকে শুধু অপমাণ করা হয়নি, গোটা গণমাধ্যমকে হেয় করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগমসহ যাঁরা রোজিনা ইসলামকে হেনস্থা করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘রেজিনা ইসলামকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিয়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। নইলে গণমাধ্যমকর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’
প্রতিবাদ সভায় গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পৌরসভার পৌর মেয়র জানে আলম খোকা এবং সর্বস্তরের মানুষ।
প্রতিবাদ সভা সঞ্চালনা করেন সৌরভ অধিকারী শুভ।
