পলাশবাড়ী পৌরসভা পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগীতার অভিযোগ

296

শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

পৌরসভা পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগীতা ও বাঁধা প্রদান বিষয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

১ জুন মঙ্গলবার সকালে পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পৌরসভা স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ৫৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পৌরসভা রাষ্ট্রের একটি প্রশাসনিক ইউনিট হিসাবে গণ্য। আইনগত ভাবে পৌরসভার নাগরিক সনদ প্রদান, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও সনদ প্রদান, অবকাঠামো উন্নয়ন, পানি ও পয়:নিস্কাশন, পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাস্তা আলোকিত করণ ড্রেনেজ ব্যাবস্থা, যানবাহনের পার্কিংস্থান ও বাসস্ট্যান্ড এর ব্যবস্থা করণ, পরিবেশ রক্ষনাবেক্ষণের জন্য বৃক্ষ রোপন, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, রাস্তার ফুটপাত নির্মাণ, নাগরিক নিরাপত্তা ও জনশৃংখলা সহ সব ধরণের রাষ্ট্রীয় সেবা ইহার নাগরিকগণকে প্রদান করা। পৌরসভা পরিচালনায় সার্বিক ব্যয় নির্বাহের জন্য পৌরসভা আইন ২০০৯ এর তৃতীয় তফসিলে বর্নিত বিভিন্ন কর, রেইট টোল ফি ইত্যাদির মাধ্যমে পৌরসভা তাহার রাজস্ব আহরণ করে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত তফসিলে উল্লেখিত মোটরগাড়ী ও নৌকা ব্যতিত অন্যান্য যানবাহনের উপর কর বা টোল নির্ধারণ ও আদায়ের জন্য গত ০৫-০৩-২০২১ তারিখে পৌর পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জুলাই ২০২১ হতে টোল আদায়ের জন্য ইজারা প্রদানের নিমিত্তে সরকারি/অফিসিয়াল ইজারা মূল্য নির্ধারণের স্বার্থে ১৫ দিন অস্থায়ী ভিত্তিতে রশিদ মূলে টোল আদায়ের জন্য সিএনজি প্রতিটি ৩০ টাকা, অটো ভ্যানরিক্সা প্রতিটি ১৫ টাকা, ট্রলি কিংবা অনরুপ যানবাহনের প্রতিটির ৩০ টাকা হারে প্রাথমিক টোল ফি নির্ধারণ করে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে তিনজন লেবার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় পৌরসভার রশিদ মূলে তাহারা উক্ত টোল আদায় করতে গেলে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ তাহাদের চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করে। আমার স্বাক্ষরিত রশিদ বহি দেখার পরেও থানা পুলিশ আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করেই তাহাদের গ্রেফতার করে ও উক্ত মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে সোর্পদ করে। যাহা পৌরসভার মত নাগরিক সেবাদানকারী একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি অত্যান্ত অবমাননাকর কর্মকান্ড বলে মনে করি।

রাষ্ট্রীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে পৌরসভা পরিচালনায় মহায়তা করা স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। সেখানে পৌরসভার কর্মকান্ডে বাঁধা প্রদান চরম অসহযোগীতামূলক মনোভাব ও রাষ্ট্রীয় অপরাধ বলে মনে করি। এহনে অপরাধের জন্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার জন্য পলাশবাড়ী থানার সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এ বিষয়ে আমরা পৌর পরিষদের সভায় আলোচনা করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

এসময় প্যানেল মেয়র আব্দুস সোবাহন বিচ্ছু , প্যানেল মেয়র শাহিনুর আক্তার, কাউন্সিলরগণ, পৌর সচিব শাহজাহান রিপন, পৌর প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।