স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতেই প্রেমিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা

259

অনলাইন ডেস্ক

নাটোরের বড়াইগ্রামে স্ত্রী আসমার পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যই প্রেমিক রাশেদের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শাহিনুর খাতুনকে জবাই করে হত্যা করেন মতিউর। ঘটনার ৮ দিনের মধ্যেই পুলিশ এই হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং হত্যার সাথে জড়িত বড়াইগ্রাম উপজেলার ভানীপুর গ্রামের আকবর হোসনের ছেলে মতিউর রহমানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের আজ শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়েএসব তথ্য জানান।

তারেক জুবায়ের জানান, ভবানীপুর গ্রামের আকবর হোসেনের স্ত্রী আসমা বেগমের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রতিবেশী মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম রাশেদের সাথে। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ দরবার হলেও থেমে থাকেনি তাদের অবৈধ সম্পর্ক। সর্বশেষ গত ৩১ মে রাশেদ আসমাকে নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর গত ২ জুন সন্ধ্যার পরে ভবানীপুর গ্রামে মাদারের পালাগান আয়োজিত হয়। সেখানে রাশেদের বাড়ির সবাই যান। এসময় রাশেদের স্ত্রী শাহিনুর খাতুন বাড়িতে তার এক বছরের ছেলে সামিউলকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এই সুযোগে আকবর ঘাসকাটা হাসুয়া নিয়ে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শাহিনুর খাতুনকে জবাই করে হত্যা করেন ও দু্ই পায়ের মাংস কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে শাহিনুর খাতুনের ভাই নুর আলী বাদী হয়ে ৫ জুন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ এই হত্যা রহস্য উদঘাটনে প্রথমে শাহিনুর খাতুনের স্বামী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ এবং তার প্রেমিকা আসমা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গতকাল আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত আকবর জানান, তার স্ত্রী আসমা খাতুনের সাথে রাশেদের অবৈধ সম্পর্কের কারণে ঘৃণা ও ক্ষিপ্ত হয়েই তিনি আসমাকে হত্যা করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার করে।

এ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর বড়াইগ্রাম সার্কেলের এএসপি খায়রুল ইসলাম ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি আব্দুর রহিম।