শাজাহানপুরের চাঙ্গুইর জলাশয় ইজারা নিয়ে বিরোধঃ অভিযোগের ব্যবস্থা নেননি জেলা প্রশাসক

269

বিশেষ প্রতিনিধি:

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় আশেকপুর ইউনিয়নের জলংগাড়ি সরকারি জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত বিরোধে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়েছে। গত ২৪মে অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন ফলাফল পাননি অভিযোগকারি উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের চাঙ্গুইর গ্রামের আশার আলো মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মোঃ শাহ আলম।

গত ১৫ফেব্রুয়ারী জলাশয়টি ৩বছর মেয়াদে ইজারা দেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)। দরপত্রের সাথে ৬৫হাজার টাকার পে অর্ডার দাখিল করেন আশার আলো মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ। অপরদিকে একই জলাশয়ের জন্য ১৫হাজার টাকা পে অর্ডার দাখিল করে চাঙ্গুইর মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ।

কম টাকা পেঅর্ডার দিলেও জলাশয়টি চাঙ্গুইর মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ কে ইজারা দেয়া হয়। এত সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়।

মোঃ শাহ আলম এর অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রকাশিত দরপত্র অনুযায়ী আশার আলো মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ সমস্ত নথি সহ দরপত্রের সাথে ৬৫হাজার টাকার পে অর্ডার দাখিল করেন। একই নথি দিয়ে এর আগেও একাধিকবার জলাশয়টি ইজারা পায় আশার আলো মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ। জলাশয়ের পাড়ে সমিতির অফিস রয়েছে। এবং জলাশয়ের সাথেই লাগোয়া আবাদি জমি গুলোও নিজের বলে দাবি করেন শাহ আলম।

প্রতিপক্ষ একই জলাশয়ের জন্য ১৫হাজার টাকা পেঅর্ডার দাখিল করেন চাঙ্গুইর মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ। যাচাই বাছাইয়ে আশার আলো মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ কে বাদ দেয়া হয়। এবং চাঙ্গুইর মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ কে জলাশয়টি লীজ দেয় হয়। অথচ এই সমিতির অফিসও অনেক দূরে।

অশুভ কোন হাত অনিয়ম করে জয়ালয়টি প্রতিপক্ষকে পাইয়ে দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শাহ আলম।

এ ব্যপারে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ হয় নাই।