সোনাতলায় পল্লী বিদ‍্যুৎ কেড়ে নিল ৫ম শ্রেনির ছাত্র তাওহিদ`র দুই হাত

316

নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ স্টাফ রিপোর্টারঃ সোনাতলায় পল্লী বিদ‍্যুৎ কেড়ে নিয়েছে ৫ শ্রেনির ছাত্র তাওহিদের দুই হাত। তাওহীদের স্বপ্ন ছিলো লেখা পড়া করে চাকুরি করবে। বাবার পাশে দাড়াবে। সেই তাওহীদ এখন বাবা মার কাছে বোঝা হয়ে দাড়াল। চাইলেই সে একা খাবার খেতে পারবে না। পোষাক পরতে পারবে না, এমনকি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে সহযোগীতা ছাড়া একা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

তাওহীদ গাবতলী উপজেলার কৃষ্ণচন্দনপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রী সোহেলের ছেলে। সে কৃষ্ণচন্দনপুর স্কাইবার্ড আইডিয়াল স্কুলের ৫ম শ্রেনির ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালুয়াহাটে শহিদুলের বাসার ছাদে।

গত ২ জানুয়ারীর ২০২১ তারিখে তাওহিদ উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের বালুয়াহাটের পাশে রাস্তা সংলগ্ন ছাদ বিল্ডিং তার খালু শহিদুলের বাসায় বেড়াতে যায়। দুপুর দুটার দিকে তাওহীদ একাই ছাদের উপরে বেড়াতে যায়। সেখানে ছাদের এক পাশ দিয়ে বহমান পল্লী বিদ‍্যুতের ১১০০০ ভোল্টের সঞ্চালন লাইন। তারে প্লাস্টিকের কভার দেওয়া ছিলো তাওহীদ সেই তার দুই হাত দিয়ে ধরা মাত্র সংগে সংগে তাওহীদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাদ থেকে মাটিতে পরে যায়। তাওহীদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সোনাতলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব‍্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন‍্য বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দুইদিনের চিকিৎসা শেষে আরও উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব‍্যরত চিকিৎসক। দিন মজুর সোহেল কি করবে পেটে ভাত জোটেনা ছেলের চিকিৎসা করবে কি দিয়ে। শেষ সম্বল বিক্রি করে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে।
সেখানে প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর দুই হাত কেটে ফেলা হয়। চিকিৎসা শেষে তাওহীদকে বাড়ি নিয়ে আসে। বর্তমানে বিকলংক দুই হাত কিছুটা সুস্থ অবস্থায় চলাফেরা করছে। তাওহীদ বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিরে পাবেনা আর হাত। যেতে পারবে না আর স্কুলে। এদিকে যে বাড়িওলার বে-খেয়ালির জন‍্য তাওহীদের দুই হাত চির দিনের জন‍্য চলে গেলো তার কোন সহযোগীতা পাইনি তাওহীদের পরিবার। এবিষয়ে তাওহীদের বাবা ১১ জুলাই ওই বাড়িওলাকে দায়ি করে সোনাতলা থানায় মৌখিক অভিযোগ দেন।