দুপচাঁচিয়ায় ধর্ষণ মামলার আসামী সহ ২ জন গ্রেফতার

333

দুপচাঁচিয়া(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ ১১ আগষ্ট বুধবার সকালে দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী নির্দেশনায় এসআই আলেফ উদ্দিন স্গংীয় ও ফোর্স সহ উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নে পাঁওগোছা গ্রামের ধর্ষন মামলার আসামী পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনের ছেলে প্রদীপ চন্দ্র বর্ম্মন (৪০), ও অপরদিকে এসআই জাহাঙ্গীর আলম,এএসআই সিরাজুল ইসলাম সঙ্গীয় ও র্ফোস সহ দুপচাঁচিয়া পৌর সদরের সঞ্জয়পুর গ্রাম থেকে মৃত-বুলু মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক মিল্টন(৩৫)কে ১২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করে।

থানা সূত্রে জানা যায়,দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়ন পাওঁগোছা গ্রামের পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনের ছেলে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা আসামী প্রদীপ চন্দ্র বর্ম্মন (৪০),তার প্রতিবেশী ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রায়দিন কু-প্রস্তাব দিত। বিষয়টি ভিকটিম তার স্বামীকে জানালে স্বামী গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবগত করলে শালিসির বৈঠকের মাধ্যমে ধর্ষক স্বীকার উক্তি করে এবং বলে আমি তাকে উত্যক্ত করিবোনা ।

গত ১৮ জুলাই ভিকটিমের বাড়িতে স্বামী সন্তান না থাকায় ধর্ষক সবার অগচরে ভিকটিমের শয়নঘরে একা পেয়ে ধর্ষক প্রদীপ চন্দ্র বর্ম্মন (৪০), মুখের ভিতরে গামছা গুজিয়ে দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে এবং ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দেয়।এই ভাবে দিনের পর দিন ভিকটিমকে প্রতিনিয়ত দৈহিক মিলামেশার করার জন্য কু-প্রস্তাব দিলে ভিকটিম নিরুপায় হয়ে স্বামীকে জানায়।

উল্লেখ্য ১১ আগষ্ট সকালে ভিকটিমের স্বামী থানায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করলে তাৎক্ষনিক থানার এসআই আলেফ উদ্দিন ফোর্স সহ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী প্রদীপ চন্দ্র বর্ম্মনকে গ্রেফতার করে।

অফিসার ইনচার্জ হাসান আলী জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী প্রদীপ চন্দ্র বর্ম্মনকে গ্রেফতার করে ও ভিকটিমকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এছাড়াও মাদক মামলার আসামী ওমর ফারুক মিল্টন এর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা রজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।