বগুড়ার শাজাহানপুরে শতবর্ষী ”বটবৃক্ষ”ভেঙ্গে পড়াই হরিলুট

240

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ডোমন পুকুর হাটের মধ্য থাকা প্রাচিন ঔতিবাহি শতবর্ষী বটবৃক্ষ পোঁকা খেয়ে ভেঙ্গে পড়াই কাঠগুলো যেন হরিলুটে পরিনত হয়েছে।
জানাগেছে, গত রবিবার পোঁকা খাবার কারণে শতবর্ষী বটগাছটি রাত্রে হঠাৎ করে ভেঙ্গে বাজারে থাকা কয়েকটি দোকান ঘরের উপর পড়ে অনেক টাকার ক্ষতি হওয়াই ইউনিয়ন ভুমি অফিস স্থানীয় দোকান মালিকগন অভিযোগ করলে গাছ কাঁটামিস্ত্রি দিয়ে গাছ কেটে নিচ্ছে তারা।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, পড়ে থাকা গাছটি করাত দিয়ে কাটছে জিজ্ঞাসাবাদ করলে লেবার সর্দার চাঁন মিয়া বলে আমাদের গাছ কাটার চুক্তিতে দিন মজুর হিসেবে কাজ করছি। সকালে এখানে উপজেলা পরিষদ থেকে ”স্যার” এসেছিলেন। পরে স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলে অফিসে বসে আছেন, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বাবু ও মাঝিড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং জনপ্রতিনিধি বাচ্চু হোসেন জানান, আমি কিছু জানিনা বাবু জানেন বাবু বলে, লেবার সর্দারকে ডেকেনিয়ে গাছ কাটছে খরনা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তসিলদার মাসুদের আদেশে কাটা হচ্ছে। আর তাহাছাড়া ওনিই বলতে পারে কি করা হবে। স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি জানায়, বটগাছটি বহু পুরানো আমলের আমরা ছোটবেলায় ওই গাছের নিচে বসে মাথার চুল দাড়ি কামিয়েছি। আগেকার মানুষ দুর-দুরান্ত থেকে এসে ব্যাগ হাতে বিশ্রাম করে রাত ১০টার দিকে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিততো দলে দলে। আবার সন্ধ্যাপরেই দুর-গ্রামের মাঝে গুনগুন সনসন আওয়াজ ভেঁসে আসতো।
মাসুদ সাহেবের অফিসে যোগাযোগ করলে ওনি অফিসে নেই অফিস সহকারী একজন জানায় সে অফিসের কাজে বাহিরে আছেন আপনারা এক ঘন্টা পরে আসেন। পরে তাহার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল ফোন ব্যাস্ততা দেখানো হয়। বিষয়টি জানতে মাসুদের সাথে আবারও যোগাযোগ করা হলে বলেন, পড়ে থাকা বটগাছটি কাটতে দু-তিন দিন সময় লাগবে সেগুলো কাঁঠ আবার উপজেলা পরিষদ চত্তরে জমারাখা হচ্ছে।
পরে বটগাছটি কাটার বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আশিক খাঁনকে বলেন, এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই তবে আমি দেখছি। পরবতির্তে আবারও ফোনে জানতে চাইলে বলেন, সেটা যেভাবে হবার কথা সেটা সেভাবেই হবে।