অনাবিল মুগ্ধতার প্রতিচ্ছবি চলনবিলের লাল শাপলা

169

এ এইচ খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ”বিলে ঝিলে পুকুর ডোবায়,শাপলা ফোটে নদী নালায়৷ সুগন্ধ নেই সুলভ এ ফুল,প্রাণটা সবার করে আকুল।শালুক নামে কেউবা চিনি, কেউবা তুলি কেউবা কিনি।”

উত্তর জনপদের বিরল প্রাকৃতিক জলসম্পদ চলনবিল, চিরচেনা রূপ আর ঐতিহ্য। চলনবিলের বিল-নদীতে এখন দেখা মিলছে বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা ফুল ও গুল্মলতা। এরই মধ্যে নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর লাল ও বেগুনি শাপলা ফুলের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি।চলনবিলে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় শাপলা। আবহমান কাল থেকেই শাপলা মানুষের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারে পাওয়া যেত শাপলা ফুলের মধু (পদ্ম মধু) শালুক আর ঢেপের খইয়ের মোয়া। চলনবিলাঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষ বিল থেকে পদ্ম মধু, শাপলা-শালুক ও মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে৷

বর্ষাকাল শুরু থেকে শরৎকালের শেষভাগ এ সময় পর্যন্ত বিশাল চলনবিলে মাইলের পর মাইল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে নয়নাভিরাম লাল, বেগুনি ও সাদা শাপলা। বর্ষার শুরুতে শাপলার জন্ম হলেও হেমন্তের শিশির ভেজা রোদমাখা সকালে বিলে চোখ পড়লে রঙ-বেরঙের শাপলার বাহারি রূপ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। বিলের শাপলার নয়নাভিরাম এ দৃশ্য দেখার জন্য ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা৷ শাপলার ফল দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু খই ভাজা হয়। যেটি গ্রাম-গঞ্জের মানুষের কাছে ঢ্যাপের খই নামে পরিচিত। শাপলার মাটির নিচের মূল অংশকে (রাউজোম) আঞ্চলিক ভাষায় শালুক বলে।সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসে বিলের পানি কমে যায় তখন মানুষ শালুক তুলে বাজারে বিক্রি করে। সেদ্ধ শালুক বেশ সুস্বাদু।