পলাশবাড়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্ব অবহেলার কারণে ডিজিটাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

115

শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্ব অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে ডিজিটাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। উপজেলায় কয়টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং ২১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কতটিতে ল্যাপটপ ও ডিজিটাল স্কিন মেশিন বিতরণ করা হয়েছে তা জানেনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বেগম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য সারাদেশের ন্যায় পলাশবাড়ী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্ব অবহেলার কারণে ডিজিটাল শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু প্রধান শিক্ষক জানান, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে আমরা ল্যাপটপ গুলো পেয়েছি।

এবিষয়ে সাংবাদিকরা তথ্য নিতে গেলে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, উপজেলায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন হিসাব এবং ডিজিটাল ল্যাপটপেরও কোন তথ্য বা ফাইল আমার কাছে নেই। তিনি আরও বলেন, ১ হাজার বছরের তথ্য চাইলে আমিতো দিতে পারবনা। তবে দুই একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তথ্য নেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন জানান, তথ্য তার কাছেই সংরক্ষিত আছে, সে কেন তথ্য দিবেনা।

অপরদিকে উপজেলায় ২১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কোনটির অবকাঠামো রয়েছে আবার কোনটিতে কোন অবকাঠামো নেই। শুধুমাত্র কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠান গুলো পরিচালনা হয়ে আসছে। শিক্ষা অফিসের সাথে যোগসাজসে প্রতি বৎসরেই সরকারি বইও উত্তোলন করা হয়। পাঠদানের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সরকারি বই গুলো যায় কোথায়?।