নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বগুড়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের মানববন্ধন

99

স্টাফ রিপোর্টার রাশেদ

এলপিজি গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানী, চাল, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ও বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ পালন করেছে বগুড়া জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট। সোমবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সাতমাথা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) বগুড়ার সভাপতি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না।

বাসদ জেলা শাখার সদস্য মাসুম পারভেজ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পল্টু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা শাখার সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ, বাসদ এর জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইফুজ্জামান টুটুল, সিপিবির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ‌, জেলা সম্পাদক সন্তোষ পালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না বলেন, বিইআরসি ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই এলপিজি’র মূল্যবৃদ্ধির মত গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোক্তাদের স্বার্থ ও অভিযোগ আমলে না নিয়ে স্বেচ্ছাচারীভাবে একের পর এক গণদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। মাত্র কয়েকমাস আগে অস্বাভাবিকভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির ধাক্কা মানুষ এখনো সামাল দিতে পারেনি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে চালসহ খাদ্যদ্রব্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি। ফলে সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।

বাসদ জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পল্টু বলেন, এলপি ও অটো গ্যাসের মূল্য আবারও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ৬২ টাকা বাড়িয়ে ১২৪০ টাকা করা হয়েছে এবং গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এলপি গ্যাস দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তিতে ৯০ শতাংশ কেনার প্রস্তাব থাকলেও বাস্তবে স্পট মার্কেট থেকে ৭০ শতাংশ এলপি গ্যাস কেনা হচ্ছে। জ্বালানির দাম সব সময়ই ওঠা নাম করে। ফলে মজুদ বাড়ানোর উদ্যোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তি থেকে ক্রয় করা না হলে মূল্য বৃদ্ধির বোঝা জনগণের কাঁধে পড়বে। অপরদিকে গভীর সমুদ্র ও স্থল ভাগের গ্যাসে গত ১০ বছরে অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করে বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের মুনাফার স্বার্থে এলপিজি ও বিদেশী গ্যাসের উপর দেশকে নির্ভরশীল করার চক্রান্ত চলছে।

সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম গত এক বছরে বেড়েছে ৫০ ভাগ থেকে ৮০ ভাগ। দেশের ১৭ কোটি মানুষ এখন বাজার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। করোনায় দেশের জনগণের আর্থিক দুর্গতি বেডেছে, আয় কমেছে, চাকুরি হারিয়েছেন। এরই মধ্যে ডিজেল, কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির ফলে বাস ভাড়া বেড়েছে, জনগণের জীবন যাত্রার ব্যয় বহুগুণে বেড়েছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনজীবন দুর্বিসহ সংকটে পড়বে। বক্তারা আরো বলেন বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে এলপিজি গ্যাস, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম কমানো, গ্রাম-শহরের ও এমএস এবং রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জোর দাবি জানান।।