দুপচাঁচিয়ায় নকল স্বর্ণমূর্তি বিক্রির ৩ প্রতারক গ্রেফতার

97

উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী শিশির,দুপচাঁচিয়া(বগুড়া)থেকেঃ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় নকল স্বর্ণমূর্তি বিক্রির ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।গত ১৯শে মার্চ শনিবার রাত্রিতে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে বাদী খুলনা মহানগর খালিশপুর থানার আলমনগর চরেরহাট এলাকার মৃত-আবুল শেখের ছেলে গাজী শেখ(৪৬),কে সংগে নিয়ে নকল স্বর্ণমূর্তি বিক্রির ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান,বাদী পেশায় একজন রংমিস্ত্রী।সে ফাইভ রিং সিমেন্ট কোঃ দেওয়াল লিখন লিখে,সেই সুবাদে গত এক মাস আগে ট্রেনে নাটোর থেকে খুলনা যাওয়ার সময় একই ছিটে পাশাপাশি বসার কোন এক মুহুর্তে ঐ মেয়েটির সংগে পরিচয় হয়ে ধর্ম বোন সম্পর্ক তৈরি করে। ধর্ম বোনের নাম দুপচাঁচিয়া থানাধীন ঝাঝিরা পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত-অজেলের মেয়ে মোছাঃ নাজুয়ারা(৫২),নাজুয়ারার মোবাইল নম্বর নেই,যাহার নং-০১৭৬৭২২৪৯২৫। আমার ধর্ম বোন নাজুয়ারা বলে যে,ভাই তুমি আমার একটা উপকার করতে হবে,কাউকে কোন কিছু বলা যাবেনা। আমি ধর্ম বোনের কথায় রাজি হয়ে যাই।সে আমাকে ২০,হাজার টাকা নিয়ে দুপচাঁচিয়া বোনের বাড়িতে আসতে বলে। আমি তার বিশ্বাসে ২০,হাজার টাকা নিয়ে চলে আসি ।ধর্মবোন আমাকে বলে আমার পাশের বাড়ির এক খালা স্বর্ণের রাধাকৃষ্œ মূর্তি
বিক্রি করবে,এটা কিনে খুলনাতে নিয়ে বিক্রি করে দু’ভাইবোন ভাগ করে নিবো।আমি সরল বিশ্বাসে টাকা দিয়ে দেই।
উক্ত ধর্মবোন তার ছলনায় আমাকে ঘরের মধ্যে বেঁধে বিভিন্ন ধরনের টর্চার করে আমার মোবাইল সহ টাকা পয়সা সব কিছু কেঁেড় নিয়ে বেড় করে দেয় এবং প্রাণনশের হুমকি দেয়।অতঃপর আমি বাড়ি থেকে বেড় হয়ে কিছু দূরে এসে মোবাইল দোকান থেকে ৯৯৯ ফোন দিয়ে ধর্ম বোন সহ আরো দু’জনকে ধরার সহায়তা করি। উক্ত দু’আসামী হলো ঝাঝিরা গ্রামের সন্টু শাহর ছেলে মাসুদ(৩৫),মাসুদের স্ত্রী রুমি খাতুন(২৮),সহ আরো অজ্ঞাতনামা দুজন আসামী রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।