নন্দীগ্রামে প্রতিমা বিসর্জন পাহারায় পুলিশ-আ’লীগ, দুর্গোৎসব সমাপ্তি

40

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। উপজেলা পরিষদ পুকুরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে কয়েকটি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এসময় পাহারায় ছিল পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলার ৪৫টি মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে ১৪টি মন্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হলেও কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রতিমা বিসর্জনের আগে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নেচে গেয়ে তাদের ধর্মকার্য সম্পন্ন করে। মন্ডপে মন্ডপে আনন্দের সঙ্গে দুর্গা মাকে সিঁদুরে রাঙিয়ে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন নারীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় বিকেল থেকেই পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিজয়ার শোভাযাত্রা আসতে শুরু করে। ঢাক-ঢোলের তালে বিভিন্ন যানবাহনে করে প্রতিমা আর ট্রাকে করে মাইকে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে নাচতে নাচতে ভক্তরা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য উপজেলা পরিষদের দিকে যায়। রণবাঘা, বুড়ইলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন দেখতে ভিড় করেন সবধর্মের মানুষ। সবার অংশগ্রহণে উৎসবের আনন্দ আরও বেড়ে যায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বগুড়া-৪ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি বলেন, দুর্গাপূজায় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিটি মন্ডপে রাতদিন পাহারা দিয়েছে। যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন ততদিন বাংলার মাটিতে কোনো অপশক্তি মাথাচাঁড়া দিতে পারবে না।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত বলেন, সকল মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ। আমরা আশাবাদী, শুধু পূজার সময় নয়, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ের জন্যই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করবে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি মন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা নিদারুণ পরিশ্রম করেছে। যেকোনো ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সক্ষমতা নিয়ে মাঠে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোনো মন্ডপকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দর্শনার্থী বেশি হওয়ায় কয়েকটি মন্ডপকে গুরুত্বপূর্ণ ভেবেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা ছিল।