বগুড়ায় মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ১১ জন প্রার্থী

55

বগুড়া-দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার মনোনয়ন যাচাইয়ের প্রথম দিনে ৪৮ জনের মধ্যে বাদ পড়েছেন ১১ জন প্রার্থী। বাতিলদের মধ্যে শুধু এক আসনেই আছেন সাত জন। যাদের পাঁচজনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের কার্যালয়ে এই মনোনয়ন যাচাইবাছাই হয়। এদিন বগুড়া- ১, ২, ৩ ও ৪ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
যাচাইয়ে শুরুতে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী মো. ইবনে সাফি বিন হাবিবের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে তার নামে ঋণ খেলাপ থাকার কারণে মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনেও একই দল এনপিপির প্রার্থী মো. ইউনুস আলীর মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর স্বাক্ষর নিজেই করেন এই প্রার্থী।
বগুড়া-৩ (দুপাচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে মোট সাত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অজয় কুমার সরকারে বিরুদ্ধে ক্রেডিটকার্ডের ঋণখেলাপীর অভিযোগ রয়েছে। যা তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি।
বাদ পড়েছেন এই আসনের নৌকার প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিয়ষক সম্পাদক খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। মনোনয়নপত্রে দেয়া তার তথ্যে এক শতাংশ সমর্থনযুক্ত ভোটারের সাক্ষরের তথ্য সঠিক না হওয়ায় তাকে বাতিল করা হয়।
একইভাবে সমর্থনযুক্ত ভোটারের স্বাক্ষরের তথ্যে ভুল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এরশাদুল হক টুলু, আওয়ামীলীগের সমর্থক ডঃ জামিলুর রশিদ তালুকদার, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ, দুপচাঁচিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন এবং জাতীয় পার্টির থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র জাকারিয়া হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাদ পড়েন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম হোসেন ওরফে হিরো আলম। মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে পূরণ না করার চারটি কারণ উল্লেখ করে তার প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া এই আসনের এনপিপির প্রার্থী মনোয়ার জাহিদের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই প্রার্থী তার মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর স্থানে নিজেই স্বাক্ষর করেন।
মনোনয়ন যাচাইবাছাই শেষে বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাতিলকৃত প্রার্থীরা ৫ থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে আপিল করার সুযোগ পাবেন। তবে সেক্ষেত্রে আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আগামীকাল সোমবার বগুড়ার বাকি ৫, ৬ ও ৭ আসনের মনোনয়ন যাচাই বাছাই হবে। যাচাইবাছাই শেষে সোমবার বিকেল চারটার পর্ আমাদের রায়ের কপি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল আবেদন করতে পারবে।