পরিবার নিয়ে ভাঁসছে অশোক

173

প্রতিনিধি, শাজাহানপুর,(বগুড়া)ঃ
বগুড়া শেরপুর উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক অশোক সরকার। পৌর শহরের বৈকাল বাজারে ছোট জায়গায় নিজের বাড়ি সাথে ব্যবসা(৯৯প্লাস গিফট শপ) প্রতিষ্ঠান। স্ত্রী আর ফুটফুটে দুই সন্তানকে নিয়ে ভালোই কাটছিলো তার। ছিলো ভ্রমন করার নেশা।
গত ১৩মার্চ ছোট ভাই সমতূল্য আশিষকে ব্যবসায় রেখে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে নওগাঁ গিয়েছিলেন স্ব-পরিবারে। সন্ধ্যা সারে ৬টার দিকে তার বাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগে। দীর্ঘ দিনের সাজানো সংসার আর তিল তিল করে গড়া ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সেই আগুনে পুড়ে ভষ্মিভুত হয়।


শেরপুর দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করেন। ততক্ষনে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় শেরপুরের আকাশ। পোড়া গন্ধে ভারি হয়ে যায় মানুষের নিঃশ্বাষ। রাত সারে ১০টার দিকে আগুন নিভিয়ে ফেলে দমকল বাহিনী। ততক্ষনে শেষ হয়ে যায় দীর্ঘ জীবনের গচ্ছিত সব কিছু।
আকস্মিক এই ঘটনায় পথে নেমে যায় পুরো পরিবার। কেউ কেউ কয়েক দিন আশ্রয় দিয়েছেন। চার সদস্যর পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার মত সামর্থবান কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নি।
সরকারি যে অনুদান পেয়েছেন তা খুবই অপ্রতুল। পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তুপ সরানোর মত আর্থিক অবস্থাও তার নেই। পুরো পরিবার তাকিয়ে আছেন সাহায্যের জন্য সৃস্টিকর্তা অবশ্যই কাউকে পাঠাবেন।


অশোক সরকার জানান, কোনদিন কারো কাছে সাহায্য চাইনি। আগুনে আমি সব হারিয়ে বুঝতে পারছি আমি কত অসহায়। স্ত্রী সন্তানের মুখের দিকে তাকাতে পারিনা। তারা সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি কারো দিকে তাকাতে পারিনা।
মেয়েটা কোন আবদার করেনা। কিন্তু ছোট ছেলেটার কাছ থেকে পালিয়ে থাকি। কস্টে আমার বুক ফেটে যায়।


আকাশের দিকে তাকিয়ে সৃস্টিকর্তাকে আমার কস্ট বোঝানোর চেস্টা করি। আর ভাবি আমাকে সাহায্যের জন্য কাউকে পাঠাবেন ।
শেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর চন্দন কুমার দাস রিংকু জানান, আশোকের পুরো পরিবার এখন আশ্রিত। ওর আর্থিক সাহায্য দরকার। যে সাহায্য পেয়েছে তা অপ্রতুল। বিবেকবান মানুষরা এগিয়ে এলে এই পরিবারটি রক্ষা পাবেন।