কাহালুতে ফুটবল খেলা কে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ,আহত ১০

146

কাহালু উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
ফুটবল খেলায় চেয়ার ভাঙ্গার জেরে বগুড়ার কাহালুতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বামুজা ও থলপাড়া গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিন দফায় সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন জখম হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ৫ জন ভর্তি হয়েছেন এবং স্থানীয়ভাবে ৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে বামুজা গ্রামের ৪ জন ও থলপাড়ার ১ জন শজিমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কাহালু থানার এস আই খোকন চন্দ্র ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার আশিকুর রহমান জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থলপাড়া আরেফিন যুব সংঘের উদ্যোগে স্থানীয় মাঠে ফাইনাল ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে কে বা করা তিনটি চেয়ার ভাংচুর করে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামুজা গ্রামের লোকজনকে দোষারোপ করে আয়োজকরা। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে।

শনিবার রাতে বামুজা গ্রামের আজাহার আলী (৪০) কে আয়োজক কমিটির লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে। রবিবার সকালে থলপড়া গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে বামুজা গ্রামের লোকজনের সাথে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে চলে আসার কিছুক্ষন পর আবারও এই দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। পুনরায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া লোকজন সটকে পড়ে।

দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান খান বদের জানান, শনিবার রাতে আজাহারকে জখম করার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে।

রোববার ৩ টায় বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে বসার কথা ছিলো। কিন্ত তার আগেই থলপাড়া গ্রামে মসজিদে ঘোষনা দিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে ফুটবল খেলার আয়োজক কমিটির প্রধান আরেফিন মোবাইল ফোনে জানান, বামুজা গ্রামের লোকজন আমাদের ছেলেদের মারতে আসলে বিষয়টি বেগতিক দেখে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

তবে স্থানীয় যুবলীগ নেতা বাদল জানান, বামুজার লোকজন সেখানে মারপিট করতে যায়নি। থলপাড়ার লোকজন তিনদফা হামলা চালিয়েছে বামুজা গ্রামের লোকজনের উপর।

কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, এখন সেখানকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই মামলা করেনি।