সাংবাদিক মুজাক্কির নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা

129

অনলাইন ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিব্ধি হয়ে নিহত সাংবাদিক মুজ্জাকিরের নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সকালে অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে নিহতের বাবা নেয়াবআলী মাস্টার এ হত্যা মামলা দায়ের করেন কোম্পানীগঞ্জ থানায়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশির হাট বাজারে কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় মুজাক্কির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

নিহত বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮), উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নোয়াব আলী মাষ্টারের ছেলে এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিল।

এর আগে, শুক্রবার (১৯শে ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গলায় র্ছরা গুলি বিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

পরে শুক্রবার (১৯শে ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, আজ সকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারা ইতোমধ্যে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।