শেরপুরে আবারো গণডাকাতির চেষ্টা পুলিশের উপস্থিতিতে পালিয়ে যায় ডাকাতদল

153

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শেরপুরে একটি আঞ্চলিক সড়কে গণডাকাতির ঘটনার আঠারো দিনের মাথায় আবারও ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৫ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত অনুমান সোয়া আটটার দিকে শেরপুর-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের সুখানগাড়ি (ফয়েজমারা ব্রীজ) এলাকায় গাছ ফেলে বেরিকেড সৃষ্টি করে একদল ডাকাত। এসময় একাধিক যানবাহন আটকে ডাকাতির চেষ্টাও চালানো হয়। তবে খবর পেয়ে শেরপুর থানা পুলিশের একাধিক টিম সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি আঁচ করতে পালিয়ে যায় সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ডাকাতদলের স্থানীয় চার থেকে পাঁচজন সদস্য ঘন্টাখানেক আগে থেকেই সড়কটির উক্ত স্থানে অবস্থান নেয়। এরপর মাইক্রেবাসযোগে আরও অন্তত আট থেকে দশজন সশস্ত্র ডাকাত সদস্য এসে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সড়কের গাছ কেটে বেরিকেড সৃষ্টি করে। এসময় একাধিক ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকসা আটকে ডাকাতির চেষ্টা করতে থাকেন।

পরে খবর পেয়ে পাশের বাজারে একটি মামলার তদন্তের জন্য যাওয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান ও শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম সর্ঙ্গীয় পুলিশের দল এবং টহল পুলিশের আরেকটি দল যৌথভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতি রোধে হানা দেয়। সেইসঙ্গে তাদের ধরতে অভিযানও চালানো হয়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা। একইসঙ্গে তাদের ডাকাতির পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, সার্কেল স্যারের সঙ্গে একটি হত্যা মামলার তদন্তের জন্য বিশালপুর ইউনিয়নের মধ্যেই ছিলাম। এসময় উক্ত সড়কে গাছ ফেলে বেরিকেড সৃষ্টির খবর পেয়েই সেখানে যাই। টহল পুলিশের দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে কাউকে পায়নি। পরে সড়কে বেরিকেড দেওয়া গাছটি সরিয়ে ফেলা হয়। সম্ভবত পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই হয়তো দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে। এরপরও দুর্বৃত্তদের ধরতে আশপাশের এলাকায় হানা দেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি। এছাড়া কোনো ব্যক্তি বা যানবহন থেকে টাকা ও মালামাল খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য: গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই আঞ্চলিক সড়কটির উক্ত স্থানে অনুমান একই সময়ে হানা একদল ডাকাত হানা দেয়। গাছ ফেলে সড়কে বেরিকেড সৃষ্টি করে অন্তত বিশটি যানবহন আটকে চালক ও যাত্রীদের অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে যায় সশস্ত্র ডাকাতরা। আর এই গণডাকাতির ঘটনার আঠারো দিনের মাথায় আবারও এমন ঘটনায় এলাকায় ডাকাতি আতঙ্ক তৈরী হয়েছে বলে জানা গেছে।