শাহজাদপুরে মোবাইলে গেমস খেলতে না দেওয়ায় অভিমানে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রের আত্মহত্যা

184

মোঃ আল আমিন হোসেন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মোবাইলে ফোনে ভিডিও গেমস খেলত না দেয়ার কারণে বাবা মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে ১৬ বছরের এক মেধাবী ছাত্র।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে “যানাযায়”
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের হাসাকোলা গ্রামের  শাহীন রেজার ছেলে শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর ৯ম শ্রেনীর ছাত্র মোন্নাফ হোসেন (১৬) অতিরিক্ত ভিডিও গেমস খেলার কারণে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ায় বাবা মায়ের উপর অভিমান করে, শোয়ার ঘরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে মোন্নাফ।

“যানাযায়”করোনা কালীন স্কুল বন্ধ থাকায় মোবাইলে পাবজি, ফ্রী ফায়ার সহ প্রভৃতি গেমসে আশক্ত হয়ে পরে শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ মোন্নাফ হোসেন।
অতিরিক্ত গেমস খেলায় আসক্ত ছেলে মন্নাফ হোসেনকে ভিডিও গেমস খেলায় বারণ করার কারণে সে পরিবারের প্রতি অভিমান করে আত্মহত্যা করে।

নিহত মোন্নাফের স্বজনেরা জানান, মোন্নাফের পিতা শাহীন রেজা পাঁচ বছর প্রবাসে থেকে করোনার জন্য দেশে চলে আসে। মোন্নাফ খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সে সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে গেমস খেলতো। গেমস খেলায় আশক্তি যখন  অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায় তখন মোন্নাফের বাবা মা ছেলেকে গেমস খেলতে বারন করে। এক পর্যায়ে এক সপ্তাহ পূর্বে শাহীন রেজা তার ছেলে মোন্নাফের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।

গত বুধবার ১০ মার্চ রাতে মোন্নাফ আবারও কাউকে না জানিয়ে মোবাইল নিয়ে গেমস খেলা শুরু করে। মোন্নাফের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে মোবাইলটি কেড়ে নেয় এবং গালিগালাজ করে। রাতে পরিবারের সাথে মোন্নাফ খাবার খেয়ে নিজ ঘরে গিয়ে শুয়ে পরে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে মোন্নাফের মা ময়না খাতুন ছেলে মোন্নাফকে ডাকাডাকি করেও কোন সারা শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তার চিৎকারে বাড়ির আশপাশের লোকজন  এগিয়ে এসে জানালা ভেঙ্গে  ভেতরে ঢুকে ঘরের ডাফা সাথে গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত দেহ টি নামায়। ধারণা করা হচ্ছে মোন্নাফ অভিমানে রাতের কোন এক সময় ঘরের ডাফার সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে

এবিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান জানান, খবর পেয়ে সাব-ইন্সপেক্টর শাহীন মাহমুদ খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।