চলনবিলে রসুনের বাম্পার ফলন,কৃষকের মুখে হাসি

228

এ,এইচ,খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের সর্বাধিক রসুন উৎপাদণকারী অঞ্চল হিসাবে পরিচিত চলনবিলের দক্ষিনাঞ্চলের ৫টি উপজেলা গুরুদাসপুর,বড়াইগ্রাম, সিংড়া,চাটমোহর ও তাড়াশের কৃষকেরা এবারও ব্যাপকহারে রসুনের আবাদ করেছেন। বিগত বছরগুলোতে চাষীরা নিজেদের উদ্ভাবিত বিনা হালে রসুন চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এবং উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এবারও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবং অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার এ অঞ্চলে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে৷

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়,আকস্মিক বড় কোন প্রাকৃতিক
দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চলের কৃষকেরা এবার ৬৬ হাজার মেট্রিকটন রসুন উৎপাদণের
মাধ্যমে কমপক্ষে ৭৫০ কোটি টাকা আয় করবে। গুরুদাসপুর উপজেলার চকপাড়া,
মানিকপুর, রয়না ভরট, বাজিতপুর, রোলভা, হাঁসমারী, ধারাবারিষা, তালবাড়িয়া
গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত মওসুমে রসুনের আবাদ কম হওয়ায়
বাজারে রসুনের ভালো দাম ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রতি মণ রসুন ৪৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা
দরে বিক্রি হয়েছে। এ কারণেই এ বছর এ এলাকার কৃষকেরা ব্যাপকহারে রসুন আবাদে
ঝুঁকেছেন। এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায়
এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার পাওয়ায় রসুনের চারা এখন দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে এমন আশা করছেন ৷

তাড়াশ উপজেলার হিমনগর গ্রামের রসুন চাষী মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে প্রায় ৪০ জন শ্রমিক লাগছে। তাদের শ্রমমূল্য ও খাবার খরচ বাবদ খরচ হয়
প্রায় ৬ হাজার টাকা। তাছাড়া বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ দিতে আরও প্রায় ৩০ হাজার
টাকা খরচ পড়েছে। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২৫ মণ রসুন পাওয়া
যাবে। মওসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম ( ২০০০ – ৩০০০)টাকা হলেও পরবর্তীতে প্রতি মণ রসুন ৪ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যায়। এতে বিঘা প্রতি সব খরচ বাদে ৩০থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ থাকবে ৷