পলাশবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি

142

শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এবার ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলন হলেও গত ৪ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে কমপক্ষে ১০ হেক্টর জমির ভুট্টার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে করে উপজেলার কমপক্ষে ১১৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভুট্টা চাষে যেমন সময় কম লাগে তেমনি স্বল্প খরচে অধিক লাভ ও পরিশ্রম অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা তাদের নিজেদের ভাগ্য বদলাতে চলতি মৌসুমে তাদের জমিতে ভুট্টা চাষ শুরু করেন। ভুট্টা চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঠিক সময়ে বীজ বপন ও পরামর্শ প্রদান করার ফলে কৃষকদের ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর ফসল ঘরে উঠানোর ঠিক পূর্ব মূহুর্তে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার প্রায় ১১৫ জন কৃষকের ১০ হেক্টর জমির ক্ষেত ক্ষয়ক্ষতি হয়। উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বড় শিমুলতলা গ্রামের ভুট্টা চাষী নজরুল ইসলাম জানান, ধান চাষের চেয়ে ভুট্টা চাষে পরিচর্যা, পরিশ্রম ও খরচ অনেক কম হওয়ায় ভুট্টা চাষ করেছিলাম। কিন্তু ঝড়ে তা সব শেষ। এবার যে ফলন হয়েছিল তাতে আমি বিঘা প্রতি জমিতে ৩৫-৪০ মণ পর্যন্ত ফলন ও ভাল দাম দুটোই পেতাম। কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক এমদাদুল হক জানান, ভুট্টা ধান চাষের চেয়ে খরচ ও পরিশ্রম অনেক হয়। তাছাড়া ভুট্টার ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাওয়া যায়। এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছিল যদি ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি না হতো তাহলে বাজারে ফসল বিক্রি করে অনেক লাভবান হওয়া যেত। কিন্তু এখন চোখে হতাশা দেখছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান, এবার চলতি মৌসুমে পলাশবাড়ী উপজেলায় ১৪৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছিল। আমরা ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের মাঝে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর হতে সরকারের দেয়া প্রনোদনা ও সহায়তা হিসেবে ১৮০০ কেজি বীজ প্রণোদনা দিয়েছিলাম। ক্ষেতের ফসলও অনেক ভালো হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে এ উপজেলায় ১১৫ জন কৃষকের ১০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়। যদি কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতি না হতো তাহলে চলতি মৌসুমে কৃষকরা এবার অনেকটাই লাভবান হতো, এমনটাই আশা করেছিল চাষীরা।