বগুড়ার শেরপুরে লকডাউনেও খোলা শত শত দোকান

168

মোঃ জাকির হোসেন: শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি

বগুড়া শেরপুরে লকডাউনের ৫ম দিনেও মানা হচ্ছেনা বিধি নিষেধ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলা থাকায় লোকজনের ব্যপক ভীড় থাকলেও নজরে আসছেনা প্রশাসনের।

সরেজমিনে ১৮ এপ্রিল রোববার বেলা ১০ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গাড়িদহ বাজার, পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা, হাটখোলা রোড, বাঁশপট্টি, বিকাল বাজার, কলেজ রোড, সকাল বাজার, হাটখোলা, পৌর ভূমি অফিস এলাকাসহ পুরো শহরের ওলি-গলি ঘুরে দেখা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান ছাড়াও নিয়ম ভেঙ্গে খোলা রয়েছে জুয়েলারি, কাঠ ফার্নিচারের দোকান, প্লাস্টিকের দোকান, পাখির দোকান, লাইব্রেরি, স্টেশনারি দোকান, ইলেকট্রিক দোকানসহ প্রায় সকল ধরণের দোকান। লোকজন মানছে না লকডাউন। তবে হাইওয়ে সড়কে দূর পাল্লার কোন যাত্রিবাহী গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, এমনই দেখা গেছে উপজেলার গাড়িদহ এলাকার হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, আমাদের হাইওয়ে চেকপোস্টে বিনা প্রয়োজনে কোন যাত্রিবাহী গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

অথচ সরোজমিনে গাড়িদহ এলাকায় হাইওয়ে চেক পোস্টে গিয়ে দেখা যায় হাইওয়ে চেকপোস্টের ৫০ গজ উত্তরে গাড়িদহ বাস স্ট্যান্ড এবং ৫০ গজ দক্ষিণে বাবলু ফিলিং স্টেশনে রয়েছে অঘোষিত সিএনজি স্ট্যান্ড। দক্ষিণের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে শেরপুর অভিমুখে এবং উত্তরের স্ট্যান্ড থেকে বগুড়া অভিমুখে অবাধে যাতায়াত করছে সবুজ সিএনজি অটোরিকশাগুলো ।
এদিকে শেরপুর পৌর শহরের বিভিন্ন দোকান পাঠ খোলা রাখার ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. সাবরিনা শারমিন এর অফিসিয়াল মোবাইল নাম্বারে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে তিনি লকডাউনে সরকারি নির্দেশ পালন না করে অন্যান্য কাজে বেশী সময় ব্যায় করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ময়নুল ইসলাম জানান, আমরা লকডাউন কার্যকর করার জন্য নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছি। নিয়ম অমান্য করে কোন দোকান পাঠ খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।