প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

170

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

গত ২৪ মে দৈনিক যমুনা প্রবাহ নামক একটি পত্রিকায় “তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জেরে শতাধিক গাছের চারা কর্তন ১৪৪ ধারা জারি” শিরোনামের সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটিতে জনৈক জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার আমাদের ০৪ (চার) ভাইয়ের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে বলেছেন যে, আমরা নাকি বিভিন্ন সময়ে তাকে হুমকি-ধমকি দিয়েছি এবং তার কথিত গাছগুলো কেটে নিয়েছি, যা সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। প্রকৃত সত্য হচ্ছে আমাদের ভোগ দখলকৃতস্থানে কোনই গাছ ছিল না। প্রকাশিত সংবাদে যে জায়গার কথা বলা হয়েছে এটা আমার বাবার ক্রয় করা সম্পত্তি এবং গত ৫২ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা এই সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। উক্ত জায়গার বিষয়ে আমরা সিরাজগঞ্জ কোর্টে বাটোয়ারা মামলা (যার নং- ৯০/২০২১) দাখিল করেছি যা চলমান রয়েছে। আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত জায়গার বিষয়ে হাইকোর্টের মামলা (যার রিট পিটিশন নং- ২৮৮৩ অফ ২০২১) চলাকালীন অবস্থায় অনেক আগে থেকেই হামলা-মামলা করে বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করে আসছে এবং আমার বাড়ীর সামনের পালান বাড়ী জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ইতোপূর্বে রিপন, টনিস সহ আরও ২০/২৫ জন সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে নিয়ে এসে বারবার দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা গত ১০/০৪/২০২১ ইং তারিখে তাড়াশ থানায় অভিযোগ হিসেবে দাখিল করি। উক্ত জায়গা নিয়ে কোর্টের নির্দেশনা থাকার দরুন আমরা কেউ উক্ত স্থানে যাইনা। উক্ত কথিত গাছ কাটার ঘটনার সাথে আমরা কেউ জড়িত নই। আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে ফয়দা হাসিল করার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আরো উল্লেখ্য যে, যে সাংবাদিক এই মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদটি করেছে সে আমার কোন বক্তব্য না নিয়েই সংবাদের একটি অংশে আমার নামে মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার না করার জন্য সম্মানিত সাংবাদিক মহলকে বিনীত ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার কে ভবিষ্যতেও আমাদের বিরুদ্ধে এরকম মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে দিচ্ছি। অন্যথায় আমাদের পরিবারের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দেয়ার ফলস্বরূপ তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা সহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব।

নিবেদক
টিপু সুলতান খান চৌধুরী
বারুহাস, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ ।