শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালোবাসার নাম- দুলু

153

আবু সাইদ হেলাল স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান একেএম আছাদুর রহমান দুলু বলেছেন, দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালোবাসার নাম। রাসেল যদি বেঁচে থাকত, তাহলে হয়তো একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা আজ আমরা পেতাম, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারত।
১৯৬৪ সালে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড থেকে সেদিনের অবুঝ শিশু রাসেলও রেহাই পাননি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
মঙ্গলবার শহরের টেম্পল রোড দলীয় কার্যালয়ে বগুড়া জেলা তাঁতী লীগের উদ্যোগে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গমাতা দুজন মিলে শখ করে তাঁদের আদরের ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন রাসেল। রাসেল নামটি শুনলেই প্রথমে যে ছবিটি সামনে আসে তা হলো হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণচঞ্চল এক ছোট্ট শিশুর দুরন্ত শৈশব; যে শিশুর চোখগুলো ছিল হাসি-আনন্দে ভরপুর। মাথাভর্তি অগোছালো চুলের সুন্দর একটি মুখাবয়ব, যে মুখাবয়ব ভালোবাসা ও মায়ায় মাখা।’বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম শহীদ শেখ রাসেল। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছেন। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তার পবিত্র স্মৃতি। শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তারা এগিয়ে আসুক।’
বগুড়া জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেকুজ্জামান রাজনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা, সদস্য আলমগীর হোসেন স্বপন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাসরিন রিক্তা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হব সজীব, আল আমিন সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল আলম শাওন, জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি হাসিনা হাফিজ, মাকছুদা মলি, জেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান রাব্বি, সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মল্লিক, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মিজু, আরিফুল বারী আনজিল, ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জয় চাকি, জামিল জাকারিয়া আপেল, স্বাধীন, সাব্বির হোসেন, সজল সরকার, বিশ^ রায়, মিনহাজ, আকাশ, জিম, শুভ, ফারুক, তাঁতী লীগ নেতা লুৎফর রহমান, শাহ আলম প্রমুখ।
শেষে শেখ রাসেল সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।