শেরপুরে বালু দস্যুদের কবল থেকে ফসলী জমি রক্ষার জন্য এলাকাবাসীর অভিযোগ

378

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া জেলার শেরপুর থানার অন্তর্গত খানপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বাঙালি নদী যাহা বরইতলী গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহমান। উক্ত নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং বিক্রয়ের নিষেধাজ্ঞা পাবার জন্য এলাকাবাসী আবেদন করেছে বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের কাছে। বিগত ২১ ডিসেম্বর ২০২১খ্রীঃ এ বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিলকৃত ডাইরি নং ৩২ থেকে জানা যায়, বরইতলী গ্রামের পূর্বপাশ দিয়েই বাংগালী নদী প্রবাহিত যার পাড়ের মূল্যবান ফসলী জমি যা এলাকার মানুষের রুটি রোজগারের একমাত্র পথ। কি কিছু চিহ্নিত মাটি ব্যবসায়ী ও বালু ব্যবসায়ী রাতের আধারে নদী থেকে বালু তোলার ফলে নদী তীরবর্তী আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এমনকি নদীর পাড়ের উপরকার বাড়ি-ঘর ভেঙে নদীগর্ভে যাবার উপক্রম হয়েছে। অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র। নস্ট হচ্ছে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের বেড়ে উঠার সুস্থ্য পরিবেশ।

জনস্বার্থে ও মানবিক দিক বিবেচনা করে খানপুর ইউনিয়নের বরিতলী ও গজারিয়া গ্রামের জনসাধারণের পক্ষে মোঃ মুন্না চৌধুরী জেলা প্রশাসক বরাবর এ আবেদন করেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো ময়নুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বগুড়ায় যোগাযোগ করতে বলেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার সাব ডিভিশন – ২ এর সহঃ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সেখানে সরকারি ভাবে নদী খনন প্রকল্পের কাজ চলমান আছে।প্রকল্পের আওতাধীন খনন কাজ হয়ে থাকলে কোনো সমস্যা নেই। যদি প্রকল্পের বাইরের কোন চক্র এমন ধরনের কাজ করে থাকে তাহলে সেটা অন্যায়। সঠিক তদন্ত না করে কিছু বলা যাচ্ছে। যেহেতু খনন কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে হচ্ছে, এটা সেনাবাহিনী করেছে কিনা সেটাও জানতে হবে।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ২১৭ কিঃমিঃ নদী খনন কাজ চলছে। যার তত্বাবধানে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪- ইন্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।