ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

61
উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানজট নেই, তবে যানবাহনের ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে কয়েক গুণ। যানবাহন না পেয়ে অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কের পাশে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

আজ বুধবার ভোর থেকে কয়েক শ ঘরমুখী মানুষকে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ভিড় করতে দেখা গেছে। অনেকে আগে থেকে বাসের টিকিট করে রেখেছেন, কাঙ্ক্ষিত বাস পেলেই উঠে পড়ছেন। কিন্তু যাঁরা আগে থেকে টিকিট করেননি, তাঁরা তাৎক্ষণিক দরদাম করে ভাড়া মিটিয়ে গাড়িতে উঠছেন কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে যানবাহনের কিছুটা চাপ ছিল। তবে এটি স্বাভাবিক সময়ের চিত্র। এখনো ঈদের ছুটির চাপ পুরোপুরি পড়েনি। শিল্পকারখানায় ছুটি হলে যানবাহনের চাপ বাড়বে কয়েক গুণ। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।
রংপুরে পীরগাছা এলাকার বাসিন্দা কবিরুল ইসলাম। পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর এলাকায়। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। যাত্রাপথে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় কথা হয় কবিরুল ইসলাম সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ সকাল আটটা থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ভাড়া বেশি চাওয়ায় বাসে উঠছেন না। যে বাস কম ভাড়া নেবে, সেটাতেই উঠে পড়বেন।

ঢাকা থেকে গাবতলী হয়ে চন্দ্রা আসা টিআর ট্রাভেলসের একটি বাসের চালকের সহকারী আবদুল হালিম বলেন, গাবতলী থেকে আসতে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে যানজটের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর চন্দ্রার আগে নন্দনপার্ক থেকে দুই কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে। কিন্তু চন্দ্রা এসে যানজট হওয়ার মতো তেমন কোনো কারণই চোখে পড়েনি।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর থেকে কালিয়াকৈর সড়কে যানবাহনের কোনো চাপ নেই বললেই চলে। তবে নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কে ভোর থেকে তিন-চার কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি ছিল।

সূত্র প্রথম আলো ।