দুপচাঁচিয়ায় পুলিশের অভিযানে ২ প্রতারকসহ নকল সোনার মুক্তি উদ্ধার

51

উজ্জ্বল চক্রবর্তী শিশির দুপচাঁচিয়া(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ২ প্রতারক সহ নকল সোনার মূর্তি উদ্ধার। এ ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান,বাদী মোঃ আসাদুজ্জামান(২৬),পিতা -রফিকুল ইসলাম ও তার চাচা মোঃ বেলাল হোসেন(৫৫).পিতা মৃত-লোকমান আলী, সাং- কোলগ্রাম,থানা -দুপচাঁচিয়া,জেলা বগুড়া। ৪ অক্টোবর শুক্রবার দুপচাঁচিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। এজাহারের ভিত্তিতে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ পৌরসভার ধাপ সুলতানগঞ্জ হাট সংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত হলে কয়েকজন প্রতারক দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার সমাজ পাড়া গ্রামের মোঃ সামসুল হকের ছেলে সুবেল মিয়া(২১).আরেকজন মৃত -আতোয়ার রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির(২০).১ নং-আসামী সুবেল মিয়ার কাছ থেকে নকল স্বর্ণের লক্ষ্মীর মূর্তি জব্দ করা হয়।যাহার ওজন = (৫ শত ২৫গ্রাম),
উল্লেখ্য,বাদী আসাদুজ্জামান বর্তমানে ১ নম্বর আসামী সুবেল মিয়ার সঙ্গে বগুড়া এনার্জি এন্ড পাওয়ার লিমিটেড কোম্পানিতে লজেনম্যান হিসেবে কাজ করে।গত ছয় মাস পূর্বে আসামী সুবেল মিয়া ও আমার সঙ্গে কাজের সুবাধে সম্পর্ক গড়ে ওঠে,আমার দুর্বলতার সুযোগ খুঁজে সুবেল মিয়া বিভিন্নভাবে অর্থ নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারকের কায়দায় চলাফেরা করতে থাকে এটা আমি বুঝতে পেরে গত ৪ ইং- তারিখে আমাকে একটি সোনার মূর্তি বিক্রি করবে বলে স্বীকার করে আমার কাছ থেকে মূর্তিটির মোট মূল্য ১লক্ষ টাকা নির্ধারণ হলে আসামী সুবেল মিয়া আমার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে আমাকে ধাপের হাটে শুক্রবারে সকাল ১২টায় আরো ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বললে আমি সেখানে উপস্থিত হলে আসামে বিভিন্নভাবে আমার সঙ্গে অধত্য পুণ্য আচরণ করলে আমি অন্য কায়দায় ৯৯৯(ট্রিপল নাইনে) ফোন দিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করছে সক্ষম হয় আর বাদবাকি আসামীরা পালিয়ে যায়।
৫ই নভেম্বর শনিবার আসামী ২ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বগুড়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।