শেরপুরে যমুনা এগ্রো ফুড প্রডাক্টস নামে ভেজাল লাচ্ছার জমজমাট ব্যবসা

167

মোঃ জাকির হোসেন শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

যমুনা এগ্রো ফুড লিমিটেডের নামে এভাবেই নোংরা ও ময়লাযুক্ত স্থানে তৈরী হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই সহ নিম্নমানের অন্যান্য পণ্য এবং লাইসেন্স ছাড়াই করছে মোড়কজাত।

বগুড়া শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ দক্ষিণপাড়া গ্রামে যমুনা এগ্রো ফুড লিমিটেডের নামে ভেজাল লাচ্ছার জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সোহেল নামের এক ব্যবসায়ী। এতে হুমকির মুখে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। এছাড়াও বিভিন্ন বাজারে বি এস টি আই এর অনুমোদনবিহীন নিম্নমানের ভোগ্যপণ্যে বাজার ছেয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসকল বিষয় নিরশনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

যমুনা এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড নামে এমনই এক কারখানা গড়ে উঠেছে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের গাড়ীদহ দক্ষিণপাড়া গ্রামে। যেটি পরিচালনা করছেন সোহেল নামের এক ব্যবসায়ী। যাদের দু-একটি প্রেডাক্টের বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকলেও তৈরি করছে প্রায় ১৮/২০টি নিম্নমানের ভেজাল যুক্ত ভোগ্যপণ্য।

কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিক কোনো ধরনের সেফটি ইকুইপমেন্ট ছাড়াই ঘরের মেঝের উপর নোংরা ও ময়লাযুক্ত স্থানে ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে কাজ করছে। তার পাশেই কয়েকদিনের পুরোনো কালো তেলে চলছে সেমাই ভাজার কাজ। নিম্নমানের পাম অয়েল দিয়ে সেমাই ভাজলেও বলা হয়ে থাকে সয়াবিন তেলের কথা। ইউনিয়ন কৃষি সাব সেন্টারের পার্শ্বে অবস্থিত দুটি গোডাউন ভর্তি নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী গুদামজাত করা হয়েছে এই কারখানার। রাখা হচ্ছে ময়লাযুক্ত স্থানে। লাচ্ছার খাচি রাখা হয়েছে কাদা মাটির মধ্যে যেখানে হাঁস আহার করছে।
এ প্রসঙ্গে কারখানা মালিক সোহেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাড়িদহ গ্রামের স্থানীয় একজন প্রভাবশালীর সাথে কথা বলতে বলেন।

স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এমন অপকর্ম নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সচেতন মহলের অনেকেই। ভেজাল পণ্যের বাজারজাতকরণ যেন না হতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।

শেরপুর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর তহমিনা আকতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোহেল নামের ওই ব্যবসায়ী এর পুর্বেও এমন কাজ করে জেলে গিয়েছিল। এখন আবার করছে কিনা জানিনা। যদি ভেজাল লাচ্ছা তৈরীর কারখানা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বগুড়া বিএসটি আই’র সহকারী পরিচালক আব্দুল আওয়াল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, আমরা আগেও এমন অভিযোগ পেয়েছি যে অনেক প্রতিষ্ঠানই অনিয়ম করছে। লকডাউনের জন্য ব্যবস্থা নিতে একটু বিলম্বিত হচ্ছে।

শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।