গাবতলীতে চুরি হওয়া ৫টি গরু উদ্ধার: ৩ চোর গ্রেফতার

500

মুহাম্মাদ আবু মুসা

বগুড়ার গাবতলীতে চুরি হওয়া ৫টি গরু উদ্ধারসহ ৩চোরকে রোববার রাতে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হওয়া গরু গুলো আদালতের আদেশে মালিকদের দেয়া হবে এবং গ্রেফতারকৃত চোরদেরকে গতকাল সোমবার জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গরু’র মালিক উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের বেড়েরঘোন গ্রামের ও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান শামীম বাদী হয়ে গতকাল থানায় মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতারকৃত গরু চোররা হলো উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের কৈঢোপ গ্রামের চান মিয়ার ছেলে ঠান্ডু মিয়া ওরফে ঠান্ডা (৫০), আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মহিদুল ইসলাম (২৬) ও শিবগঞ্জ উপজেলার চল্লিসত্তর গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (৪২)। জানা গেছে, প্রায় সপ্তাহখানিক আগে আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান শামীমের ৪টি গরু চুরি হয়ে যায়। এ ছাড়া একই ইউনিয়নের আহম্মেদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ৪টি, সোনারায় ইউনিয়নের হাড়িভিটা গ্রামের রিপন মিয়ার ২টি গরু চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে চুরি হওয়া ১০টি গরু উদ্ধার ও চোরদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালায়। এর এক পর্যায়ে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) এর দিক নিদের্শনায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম এবং ওসি (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে রোববার রাতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ৫টি গরু উদ্ধারসহ ৩চোরকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল আদালতের মাধ্যমে চোরদের জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৫টি গরুর মধ্যে আহম্মেদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ৪টি এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান শামীমের একটি গরু রয়েছে। আব্দুর রাজ্জাকের ৪টি গরু খোয়া গেলে ৪টিই উদ্ধার হয় এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান শামীমের খোয়া যাওয়া ৪টির মধ্যে ১টি গরু উদ্ধার হয়েছে। তবে হাড়িভিটা গ্রামের রিপন মিয়ার কোন গরু উদ্ধার হয়নি। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম এবং ওসি (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তাঁরা উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন অন্যান্য গরু উদ্ধার এবং চোরদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত ঠান্ডু মিয়া ওরফে ঠান্ডা স্থানীয় কাগইল বাজারে মাংস বিক্রেতা (কসাই) মাইনুল, আইনুল ও ইয়াছিন আলীর ভাই বলে জানা গেছে। কসাই মাইনুল, আইনুল ও ইয়াছিন আলীর বিরুদ্ধে চোরাই গরু, মৃত গরু জবাই করে বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ তাদেরকে মাঝে মধ্যে খোঁজ করলেও অজ্ঞাত কারনে তারা আবার বীরদর্পে মাংস বিক্রি করে যাচ্ছে। তবে অনেকে বলছেন ওই কসাইরা নিয়েমিত। যে কারনে তাদের তেমন কোন সমস্যা হয় না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই কসাইদের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী করেছেন এলাকাবাসি।