পলাশবাড়ী সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোকাবহ আগস্টের ১০ দিনেও ধারন করেনি কালো ব্যাচ

153

শাহারুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বাধীনতা বিরোধীরা তাতেই ক্ষ্যান্ত নয় ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-কে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। বাঙ্গালি জাতির কাছে আগস্ট মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। আগস্ট মাসকে সরকার শোকাবহ মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি শায়ত্বশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানে শোক ব্যানার ও কালো ব্যাচ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আগস্টের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও সোনালী ব্যাংক লিঃ পলাশবাড়ী শাখার কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কালো ব্যাচ ধারন করেনি। ১১ আগস্ট বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকের জোন কর্মকর্তার শরীরেও শোক ব্যাচ নেই। এ বিষয়ে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার রওশন জামিল বলেন, আমারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখিনি। আজ থেকে কালো ব্যাচ ধারন করবো বলে তিনি ব্যাচ কিনতে চলে যান।

ব্যাংকে তদন্ত কাজে আকষ্মিক উপস্থিত সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধার এজিএম সাহিয়্যোদ শাহ জামাল তিনিও কালো ব্যাচ ধারন করেনি, কারন হিসেবে তিনি অকপটে নিজের দোষ স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মতিউর রহমান সরকার বলেন, আমি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রয়োজনে কারন দর্শানো হবে। আজকের পর থেকে সবাই যেন অবশ্যই কালো ব্যাচ ধারন করে সেই ব্যবস্থা গ্রহন করবো। সোনালী ব্যাংক রংপুর জিএম রশিদুল ইসলাম বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করেনা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। জাতির পিতার আদর্শে সবাইকে অনুপ্রানিত হওয়া দরকার। আমি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে গাইবান্ধার সোনালী ব্যাংকের এ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার সহিয়্যোদ শাহ জামালের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশনা অবমাননাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় ব্যাংকের শাখা গুলো দুর্নীতি অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হয়েছে বলে গ্রাহকরা জানান।