দুর্ভোগ চরমে পুনঃনির্মাণের দাবী গাবতলীর সোনারায়-ডাকুমারা সড়ক

288

মুহাম্মাদ আবু মুসা

বগুড়া গাবতলীর সোনারায়-ডাকুমারা সড়কে পাকা কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্য স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কটির উপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যে কারনে জনসাধারণের পোয়াতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এই সড়কটি দ্রুত পুনঃ নির্মাণ বা মেরামত করা না হলে উত্তর গাবতলীর মানুষ অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি। জানা গেছে, গাবতলীর সোনারায়-ডাকুমারা সড়কটির সাথে বগুড়া জেলা শহর ছাড়াও মহাসড়কের অত্যান্ত সর্ম্পক রয়েছে। গাবতলী উপজেলার মধ্যে এই সড়কে ডাকুমারা হাট সব চেয়ে বড় গরুর হাট। আবার এই উপজেলায় যে কয়েকটি হাট রয়েছে তার মধ্যে সরকার সব চেয়ে বেশী রাজস্ব আয় করে থাকে ডাকুমারা হাট থেকে। এ ছাড়া এই সড়কে বেশ কয়েকটি বন্দর ব্যবসায়ী কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাছাড়া এই সড়কের সাথে আরো বেশ কয়েকটি বন্দর ও হাট বাজারের সর্ম্পক রয়েছে। এ গুলো থেকে প্রতি বছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। গাবতলীর সোনারায়-ডাকুমারা সড়কে রয়েছে হাট-বাজার, বন্দরে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, এনজিওসহ সরকারী বেসরকারী অনেক অফিসও রয়েছে। এই সড়কটির উপর দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষ শতশত যানবাহন নিয়ে চলাচল করে। নানা ধরনের যানবাহন ও পায়ে হেঁটে যাতায়াত করে থাকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, অফিসগামীসহ লাখো মানুষ। প্রায় ১০কিলোমিটার গাবতলীর সোনারায়-ডাকুমারা সড়ক রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায়। এই সড়কে শুধু দেড় কিলোমিটার কাজ করা ছাড়া সম্পূর্ণ সড়কটির বেহাল অবস্থা রয়েছে। সড়কটির পাকা কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্যস্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দেখে মনে হবে এটি কোন সড়ক নয়, মাছ চাষ করা ডোবা অথবা পতিত পড়া সড়ক। এ কারনে প্রতিদিন ছোট খাট দুর্ঘটনা লেগেই আছে। আবার সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তে ময়লা পানি জমে থাকায় যানবাহনের চাকায় পানি ছিটকে মানুষের শরীরে লেগে কাপড় চোপড় নষ্ট হওয়ায় ঝগড়া বিবাদও সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া আরো নানা সমস্যা হওয়ার কারনে জনসাধারণের পোয়াতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। তাই দ্রুত সড়কটি নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি ও ব্যবসায়ী মহল। এ বিষয়ে ওই সড়কের খুপি গ্রামের আলেক উদ্দিন কালু মেম্বার, জহুরুল ইসলাম, ফুলমিয়া, জিতু, উজগ্রামের লেবন চৌধুরী, লাংলু এলাকার রফিকুল ইসলাম, শিবলু এর সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, সড়কটির বেহাল অবস্থা হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ সর্বশ্রেনীর মানুষ অতি কষ্ট করে যাতায়াত বা চলাচল করছে। ফলে সড়কটির দ্রুত পুনঃনির্মাণ বা মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান। স্থানীয় সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিদুল ইসলাম ও দক্ষিনপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সাইফুল জানান, এই সড়কটি দ্রুত পুনঃনির্মাণ বা মেরামত করা না হলে উত্তর গাবতলীর লাখো মানুষ অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গাবতলী উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা জানান, সোনারায়-ডাকুমারা ১০কিলোমিটার সড়কে সোনারায় থেকে দেড় কিলোমিটার কাজ হয়েছে এবং ডাকুমারা থেকে দেড় কিলোমিটার কাজ আগামী ডিসেম্বরে হবে। এ ছাড়া বাকী কাজ গুলো চলমান প্রক্রিয়া রয়েছে। বগুড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, সমস্যা বা বেহাল অবস্থা হওয়া বিভিন্ন সড়ক পুনঃনির্মাণ বা মেরামত করা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আশা করছি ২বছরের মধ্যে জেলার সকল সড়ক পুনঃনির্মাণ বা মেরামত কাজ সম্পূর্ণ হবে। তিনি (গোলাম মোর্শেদ) আরো বলেন, গাবতলী উপজেলা প্রকৌশলী’র সাথে কথা বলে যাবতীয় তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।