গাবতলীতে ভুমিহীনদের জমি উদ্ধারে ছুটে যান ইউএনও রওনক জাহান

244

মুহাম্মাদ আবু মুসা

বগুড়া গাবতলীর নেপালতলী ইউনিয়নের চকরাধিকা গ্রামে ভুমিহীনরা সরকার থেকে নেয়া লিজকৃত খাস জমি স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক কিছু জমি জবর দখলে নেয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগি নারী-পুরুষরা গত বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। এ সংক্রান্ত দৈনিক বগুড়াসহ কয়েকটি মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রওনক জাহান এর নজরে আসে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল ১২জুন/২১ তিনি (ইউএনও) ছুটে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উভয় পক্ষের সাথে বৈঠক করে সমঝোতা পর্যায় নিয়ে আসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেপালতলী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতা ধন্য গোপাল সিংহ, স্থানীয় ইউপি মেম্বার তোফাজ্জল হোসেন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রাঙ্গা, ভুক্তভোগি পরিবারের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা চান মিয়া প্রামানিক, বাচ্ছু প্রামানিক, ফটু মন্ডল, কিসমত প্রামানিক, খোকা প্রামানিক, ছালেক প্রামানিক, আবু তালেব প্রামানিক, তহসিন আলী প্রামানিক, মিনা প্রামানিক ও হাতেম প্রামানিক, প্রতিপক্ষ জিন্না মিয়া প্রামানিক, লাল মিয়া প্রামানিক, আশরাফ আলী প্রামানিক ও নুরুল ইসলাম ছান্নু প্রামানিক ছাড়াও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, ওই গ্রামের উপরোক্ত ১০জন অসহায় ও ভুমিহীনরা ১৯৯৬সালে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারীভাবে ৯৯বছরের জন্য চকরাধিকা মৌজায় সরকারী খাস ২একর ৯২শতক জমির এর মধ্যে ২একর ৪৭শতক জমি লিজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু চকরাধিকা গ্রামের প্রভাবশালী জিন্না মিয়া প্রামানিক, লাল মিয়া প্রামানিক, আশরাফ আলী প্রামানিক ও নুরুল ইসলা ছান্নু প্রামানিক ভুমিহীনদের লিজকৃত কিছু জমিতে তারা হানা দিয়ে জবর দখল করে নেয় এবং স্থানীয় মন্দির এর নামে প্রায় ২৫শতক জমি দখলে নেয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগিরা জানায়। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার প্রচন্ড রোদে মাঠের মধ্যে অসহায় ও ভুক্তভোগি নারী-পুরুষরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন এবং প্রভাবশালীদের জবর দখলে নেয়া জমি গুলো উদ্ধারের জন্য মিডিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান ওই অসহায় ও ভুমিহীনরা। খবরটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রওনক জাহান এর নজরে আসলে গতকাল তিনি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে উভয় পক্ষের সাথে বৈঠক করে সমঝোতা পর্যায় নিয়ে আসেন। প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ তিনি সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রওনক জাহান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উভয় পক্ষকে নিয়ে সার্বিক বিষয়ে কথা বলে মোটামুটি সমঝোতা হওয়ার পথে রয়েছে। স্থানীয় নেপালতলী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, চকরাধিকা মৌজায় বীর মুক্তিযোদ্ধা চান মিয়া প্রামানিকসহ ১০জন ভুমিহীনকে আমরা ২একর ৯২শতক জমির এর মধ্যে ২একর ৪৭শতক লিজ দিয়েছি। এর মধ্যে জিন্না গং কিছু জমি দখল করে নিয়েছে এবং স্থানীয় মন্দির এর নামে প্রায় ২৫শতক জমি দখলে নেয়া হয়েছে। মন্দিরের বিষয়টি প্রায় সমাধান হয়েছে আর জিন্নারা অবৈধভাবে দখল করে রাখলেও তা ছেড়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ জিন্না গং জানান, আমরা কারো জমি দখল করেনি, বরং তারা আমাদের জমি দখল নেয়ার চেষ্ঠা করেছে।